জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সভ্যতার বিকাশে
অরণ্য-নিধন যজ্ঞস্থলে একাকী হেসে  
বিধাতা জানালো,‘মনুষ্যত্বের নিঃশেষে      
প্রাকৃতিক ভারসাম্য লোপাট হয়েছে’।
  
বায়ুতে সদা নির্গত ক্লোরোফ্লুরোকার্বন    
উপর্যুপরি নানান বিষাক্ত গ্যাস-মিশ্রণ      
অনিয়ন্ত্রিত গ্রিন-হাউস গ্যাস নিঃসরণ    
পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে এখন।


ক্রমবর্ধমান জেট-বিমানের আস্ফালনে
বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে গহ্বর খননে,  
ধরায় রবি রশ্মির অতিশয় প্রক্ষেপণে
পৃথিবীর উষ্ণতা এখনি নেই নিয়ন্ত্রণে।
  
সকল মহাদেশ ভয়াবহ খরা কবলিত
বিপদ আসন্ন ভেবে বিজ্ঞরা বিচলিত।    
গৃহ-স্থলীতে তীব্র পানীয় জল-সংকট
অমূলক জলের অপচয়ে হয়েছে প্রকট।


চাষাবাদে,শিল্প-তালুকে জলের ঘাটতি    
মেটাতে জলোত্তোলনের হয়নি বিরতি।  
নদী-বাঁধে জমা জল প্রায় নিঃশেষিত
দিশা-হীনতায় সবে অতিশয় শঙ্কিত।
  
চাষাবাদ,শিল্প চাহিছে জলের জোগান    
গৃহ-কাজের নৈমিত্তিক জল সংকুলান।        
ভূগর্ভের জল উত্তোলনের ব্যাপকতায়
ধরা বিপর্যস্ত ভূগর্ভস্থ জল-শূন্যতায়।


ভূগর্ভস্থ তাপ-নিঃসরণের বাড়বাড়ন্ত  
তার পরিণতি ভাবনায় সবে শঙ্কিত।
প্রকৃতির অস্থি-মজ্জায় লাগছে আঘাত
তার শোণিত ধারা হানছে প্রতিঘাত।


মূক ও বধির প্রকৃতি বড় অভিমানী
কান পেতে শুনি তারি ক্রন্দন ধ্বনি।
বেদনাহত মা চাইছেন তার প্রতিকার  
ভাঙ্গছেন অদূরদর্শীর আশ্রয়ের প্রাকার।