সাগর থেকে ব্যবধান? দু’শ মিটারের মতো ।
বলা যায়, বেশ খানিকটা নিরাপদ দূরত্ব ।
দেখেছি তাকে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছে,
অন্ন,বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেসব নিয়ে
করতে হয়নি নিত্যনৈমিত্তিক জীবন সংগ্রাম ।
এই অবস্থায় দুস্থ ও অসহায়দের প্রতি সহমর্মিতা
সুখী পায়রাদের সমগোত্রীয়দের ক’জনের জন্মায়?
সেই গোত্র ভুক্ত সে, এক দৌড়ে ছুটে গিয়ে
বসলো সমুদ্র সৈকতে, বালিয়াড়িতে।
সাগরের ভয় ভীতি? না,সেসব মোটেই কাটেনি চিমটি ।
মনোরম পরিবেশে স্বচ্ছন্দে বেড়ালো কল্পনার জগতে।
দূর থেকে সমাজ ও সাগরের গর্জন ভেসে এলো,  
তাতে কি? তার কী যায় আসে ?
বৈচিত্র্যে ভরপুর এ বিশ্বে
ক’জন সে নিয়ে ভাবে অকারণ ?
‘জলে কুমীর,ডাঙায় বাঘ’–সেই ভয়ভীতিও নাই
বলো, এই অবস্থায় ‘নাকে ও কানে তুলা গুঁজে
চোখ বন্ধ করে চিকচিকে বালির শয্যায় শুয়ে
সাগরের ঢেউ গুনতে আর ক্ষতি কি?
দেখেছি দুস্থ অসহায় মানুষেরা জীবন সংগ্রামে
যখন অতিশয় ব্যস্ত, সে কাটাচ্ছে সেই অবস্থায়!
আলো অন্ধকারের মতো সমাজের দুই বিপরীত
চিত্র, কত পাশাপাশি!