সেদিন চায়ের দোকানে বহু
লোকজন করছিল বলাবলি,
‘ব্যতিক্রম যদিও আছে,তবে
ভোট এলেই সব রক্তচোষা
বর্ণচোরাদের নাকি গলবস্ত্রে
জনগণের কাছে হাতজোড়
করেই ভোট ভিখ চাওয়াটা
পরিণত হয়েছে অভ্যাসে’।
বলো,এসব শুনতে কেমন
লাগে?ইচ্ছা হয় নাকি কানে
তুলা দি' গুঁজে?
শোনো,সে জমাট আসরে
বললো একজন,‘এটুকু তো
কষ্ট করতেই হয়,নয়তো
ভোট শেষে সমাজ টাকে
চিবিয়ে খাওয়ার খিদে টা
পাবে কি করে’?
ভেবেছি,বহু কিছু দেখেছি
খাদ্যদ্রব্যের তালিকায়,কিন্তু
সমাজকে সেথায় দেখিনি
তো কখনও।
জিভ আড়ষ্ট,তবু নিরুপায়
হয়ে তাকে সেকথা বলায়
প্রত্যুত্তরে সে হেসে হেসে
কি বললো জানো,‘আছে,
তাদের খাদ্যের তালিকায়,
আর একবার ভোটপর্ব টি
মিটতে দাও,তারপর দেখো
তারা কী করে?দেখবেই
তাদের নিয়ে এ সমাজে
সংকট কত গভীরে’।
দোকানে তখন নিস্তব্ধতার
পরিবেশ।নিবিড় ভাবনার
জটায় বন্দীদশায় সে সময়
সবার মগজে চলছে বেশ
আলোড়ন।সে তখন নাকে
নস্যি পুড়ে দিয়েই বললো,
‘আগেও হয়তো দেখেছো,
তারা দাঁত দিয়ে এই অন্ধ
সমাজ কে ছিঁড়ে তার সব
রক্তমাংস গোগ্রাসে গিলেছে
ক্ষুধার্ত বাঘিনীদের মতো,
আর এই মানব সভ্যতার
কারাগারে বন্দী সব নিরীহ
জনগণের অর্থ ও সম্পদ
বছর ভর লুঠ করে গড়েছে
তাদের সুখের গড়’।
তারপর?
আরো কত কী যে বলবো!
শোনো,‘করের যাঁতাকলে
জনগণদের পিষে ভাসিয়ে
দিয়েছে নদী বক্ষে ‘সুদিন’
ভেলায়!’
‘এই ভেলা যায় কোথায়?’
এ প্রশ্ন যখন জাগলো মনে
অপলকে তাকিয়ে দেখেছি
দৃষ্টি যতদূর যায়।দেখেছি,
'লখিন্দরের মতো তাদেরকে
কালের স্রোতে ভেসে যেতে
কালাপানির দিকে'।