প্রিয়তমা,
মোবাইলে তোমার ম্যাসেজের শেষ কথাগুলো
বেশ বিঁধেছে আমার অন্তস্থলে।বুঝতে পেরেছি,
করোনার সংক্রমণ কালে দেশে লক-ডাউনের
দ্বিতীয় পর্যায়ে,অনেক কষ্ট পেয়েছ আমাদের
শিশুপুত্র সহ পরিবারের সকলকে নিয়ে।বুঝি,
এর সবই আমার ব্যর্থতার দায়।তবুও বলতে
হয় আজকে সমাজের যা হাল তাতে সাধারণ
মানুষের জীবন জীবিকার ক্ষেত্রে দোদুল্যমান
এই সাঁকো পেরোনোর পথে প্রতিনিয়ত হচ্ছে
অন্তরায়।
প্রিয়তমা,ভাবো সেসব দিন গুলোর কথা যখন
আমার আগের কর্মস্থলে লক আউট ঘোষণার
অব্যবহিত পরে কর্ম সংস্থানের তাগিদে নানান
স্থানে ছোটাছুটি করেও যখন নিজেদের রাজ্যে
বিকল্প কোন কাজের ব্যবস্থা করতে পারিনি,
সামনে একটি কাঁটাতারের বেড়া পথ আগলে
দাঁড়িয়ে নিষেধ করলো সামনে এগিয়ে যেতে,
তখন তুমি আপত্তি করেছিলে বটে,তবুও আমি  
তোমার সব ওজর আপত্তি গুলো অগ্রাহ্য করে
অবশেষে আত্মীয় পরিজন সব ছেড়ে কাজের
খোঁজে পরিযায়ী পাখিদের মতো চলে এসেছি
মহারাষ্ট্রের বান্দ্রায়।
এখানে আসার পরে যা ঘটলো সবই বলবো
তোমায় একে একে।তার আগে তোমায় বলি
আমাদের খোকন সোনাটির কথা খুবই মনে
পড়ে।বাবা-মা সহ তোমার কথাও ভাবনায়
আসে,যখন কাজের খোঁজ করে ফিরে আসি
ঘরে।ফিরেছি একটু আগে কাজকর্মের খোঁজ
করে ক্লান্ত শরীরে।বলছি খাবার জন্য এখন
আমাকে যেতে হবে কিছুটা দূরে।দেরি হলে
খাবার জোটাতে কষ্ট হবে।তাই বেশি কথা
বলবো না আজ।ভালো থেকো সবাই।আজ
এটুকুই থাক।
                                ইতি
                          তোমার প্রাণেশ্বর