বছর পেরিয়ে গেল।দেখছো
নিশ্চয় বছর ভর জনজীবনে
আছড়ে পড়েছিল করোনার
ঢেউ।
মৃত্যুমিছিল আজও অব্যাহত
তবু কমেনি অশান্ত করোনা
ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত।দেখো,
কী অবর্ণনীয় দশা শ্মশানে
ও কবরস্থানে।
কে জানে,ক’জন করোনায়
সংক্রমিত হয়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে
ঘোরাফেরা করছে জনবহুল
স্থানে জনগণের ভিড়ে?
হায় রে,এ কী ঘোর দুর্দশা!
কোথায় বজায় থাকছে আজ
সামাজিক দূরত্ব?নিত্য চলছে
পথেঘাটে এতোই জটলা যে
কারো পাশের লোকের ঘাড়ে
পড়ছে তার গভীর নিঃশ্বাস।
সুস্থ মানুষও হারাচ্ছে নিজের
আত্মবিশ্বাস।
কী ভাবছো বসে?কোথাও কি
জনগণ শৃঙ্খলা পরায়ণ?
দেখছো,অনুশাসনের কতটা
প্রয়োজন?এর অভাবে এখন
নিঃশব্দে নীরবে সংক্রমনের
শৃঙ্খল ছড়াচ্ছে মাকড়সার
জালের মতন।
করোনা ছড়াতে পারে দ্রুত
প্লেগের মতো গ্রাম ও শহরে,
বাণিজ্য নগরী,সমস্ত শহরের
প্রাণ কেন্দ্র এবং শিল্পতালুকে
গণপরিবহনে নিত্যযাত্রীদের
মাধ্যমে।
আকাশ ঝঞ্ঝা কবলিত,সন্ধ্যাও
ঘনিয়ে এলো।বলছি তোমাকে,
বিলম্বে বোধোদয় হলেও এখনি
এই শৃঙ্খল ছিন্ন করা দরকার
বুঝেছে জনদরদী সরকার।
কর্মসংস্থানের আঁতুড়ঘরে প্রত্যহ
অর্থ রোজগারের তাগিদে গ্রাম
ও শহরতলী থেকে যারা এসে
ভিড় করে বাসে তাদের চলছে
এখন নিয়ন্ত্রণ।বন্ধ করা হলো
লোকাল ট্রেনে যাত্রী পরিবহন।  
কর্মসংস্থান কেন্দ্রগুলোতে তালা
পড়ার যোগাড়।উন্মুক্ত থাকবে
কেবল প্রকৃতির পাঠশালা।