খেলা তো বেশ হলো,এযাবৎ
ফলাফল যেটুকু এলো তাতে
ওরাং-ওটাং এর মতো লুটিয়ে
পড়েছি।বলো,ঘৃণা বর্ষণ ছাড়া
অন্য কোনও উপহার দেবার
আছে কি?
মেঘাচ্ছন্ন আকাশ।বহু সন্ত্রাস
সৃষ্টিকারী গণতন্ত্রের টুটি কে
চেপে ধরে উল্লাস করছে দেখে    
জানতে ইচ্ছা করে,‘প্রতিরোধ
সৃষ্টি করে কারো ভোটদানের
অধিকার কেড়ে নেওয়া যায়’
এ কথা সংবিধানের কোথায়
লেখা আছে?
জানো,গণতন্ত্রের প্রতি যথাযথ
সম্মান জানিয়েই বলতে ইচ্ছা
করে ‘গণতন্ত্র’ বড়ো অসহায়।
ভাবছি,কী আর বলা যায়!
সেদিন দেখেছি তাকে একটি
কানাগলির পাশে বসে অবসাদে    
আচ্ছন্ন হয়ে ফ্যালফ্যাল করে
তাকিয়ে আছে।
কৌতূহলের বশে সেই নিঝুম
সন্ধ্যায় জিজ্ঞেস করেছি তাকে,
‘তোমার এ দুর্দশা কেন?বলতে
পারো,কারো প্রতি ভয় ভীতি
প্রদর্শন করে তার গণতান্ত্রিক
অধিকার কেড়ে নেওয়া যেতে
পারে সংবিধানের কোথাও কি
তার উল্লেখ আছে’?
দেখেছি,সে নির্বাক থেকেছে।
ভাবি,এই অপরাধ ডাকাতির
চেয়ে কম কিসে?
তুমি কী ভাবছো বসে?বলি,
অপরাধ বোধ যদি অন্তঃস্থল
থেকে কেহ অনুভব না-করে
তবে পুলিশ প্রশাসন ও আইন
আদালত দিয়ে এই অপরাধ
নিবারণ করা কখনো সম্ভব
নয়।সে জন্য সব জনগণের
সুশিক্ষার প্রয়োজন।নয় তো,
গণতন্ত্রের শৈশব থেকে বাল্যে
উত্তরণ অলীক কল্পনা মাত্র।