জানতে ইচ্ছা করে যখন
সমগ্র বিশ্ব ভুগছে চরম
আর্থিক সংকটে,সে সময়
অসীম কল্পনাবিলাসী ভিন্ন
অন্য কারো মনে ব্যাপক
প্রত্যাশার পারদ চড়ে কি
কখনও?
বিস্ময় জাগে,বাস্তব অবস্থা
দেখে।দেখো,দরিদ্র জনগণের
চাহিদা যেখানে খুবই অল্প,
তারাও ভুগছে এখন চরম
দুর্দশায়।
জানি না,আচ্ছা দিনের স্বপ্ন
পূর্ণ হবে কিনা।তবে এ সময়
গৃহস্থের সব নিত্য প্রয়োজনীয়
সামগ্রীর মূল্য উল্কার মতো
নিয়ত ছুটছে ঊর্ধ্ব মুখে।
হূ-হূ করে বাড়ছে পেট্রোল,
ডিজেল সহ রান্নার জ্বালানী
গ্যাসের দাম।রাম গরুড়ের
ছানাদের মতো অনেকেরই
দশা।হাসতেও যেন মানা!
সকলেই মুখ বুজে সইছে
ব্যাপক জীবন যন্ত্রণা।
আচ্ছা দিনের স্বপ্ন দুরস্ত।
বরং জনগণ তরতর করে
চলে যাচ্ছে দারিদ্র সীমার
নীচে।অধিকাংশকে বলতে
শুনি,‘সেখানে পৌঁছতে কী
আর বাকি আছে’?
বলি,মনে রেখো,কৌতুকের
মতো শোনালেও এটা সত্য।
কোথাও ভোট ঘনিয়ে এলে
উল্কার বেগে বাতাস বয়ে
আনে ক’জন জন-দরদীর
আশ্বাসবাণী।
একাকী অবসরে বসে ভাবি,
তাদের ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতি
মনোহরা হলেও ‘গল্পের গরু
গাছে চড়ার মতো’একেবারে
অবাস্তব নয় কি!
এসব ভাবনার যৌক্তিকতা
নিয়েও কারো মনে এ প্রশ্ন
জাগতে পারে এই বিশ্বায়ন
এবং ইন্টারনেটের যুগে।
বলো তো,আজ কে না জানে
একটু জানার চেষ্টা করলে
বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর
অতি সহজেই চলে আসছে
একেবারে হাতের মুঠোয়।
অবশ্য ভীম ঘুমে কাটালে
তার ক্ষেত্র ভিন্ন।
শোনো,একথা জানে নি শুধু
জন-দরদীরা।এখনো তাদের  
ছলচাতুরী দেখেই মনে হয়
তারা মরুভূমি তে উটেদের
মতো বালিতেই মুখ গুঁজে
সেসব ঘটনাবলী না-জানার
ভান করে বসে আছে।
বলি,হয় তো ঘনিয়ে আসছে
তাদের বিদায়ের বেলা,তবু
এখনো প্রয়োগ করছে তারা
বহু ছলাকলা।
দেখো,চিরুনি তল্লাশ করার
কোনও প্রয়োজন নেই,মগজে
অল্প একটুকু আঁচড় কেটে ই
দেখো,হয় তো মনে পড়বে
কোন জন-দরদী দল এখন
কোন কোন রাজ্যের শাসন
ক্ষমতায়।
বলি,সব জান্তা কে জিজ্ঞাসা
করতেও বাধা নাই।তাকে
জিজ্ঞাসা করে সেসব রাজ্যে
নারীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা,
শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা,
জনস্বাস্থ্য,সমস্ত বেকারদের
কর্ম সংস্থানের খবর নিতে
বাধা কোথায়?
বলি,জেনে নিতেও পারো
পেট্রোল,ডিজেল ও রান্নার
জ্বালানী গ্যাসের দর সহ
সাধারণ জনগণের এখন
জীবনযাত্রার খবরাখবর।
বলি,টিকটিকিদের মতো
বাতাসে কান পাতলে ই
জানবে এই জন-দরদীরা
সরকারে এসে জনগণের
সমস্যার কতটা সুরাহা
করেছে।  
তাদের সাফল্য ও ব্যর্থতা
কি জানতে ইচ্ছা করে?
তবে শোনো,খতিয়ান দেখে
বলতে ইচ্ছা করে তাদের
অধিকাংশকে জনগণ এখন
ব্যর্থতার শিরোপা পড়াতে
প্রস্তুত হয়ে আছে।
তারপরও তারা অবাস্তব
প্রতিশ্রুতি ছড়াচ্ছে দেখেই
রাখ ঢাক গুড়গুড় না-করে
তাদের বলতে ইচ্ছা করে,
‘বন্ধ করো এখনি এসব
রঙ্গ তামাশা’।
ওই দেখো,আকাশ কালো
মেঘে ছেয়েছে।বজ্রনাদ ও
শোনা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে তাদের জানা
ভালো অমূলক প্রতিশ্রুতি
ছড়িয়ে ভোটের বৈতরণী
পেরোতে গেলে গৃহিণীরা
এই তামাশা দেখে ক্ষেপে
দশভুজা র মতন তাদের
সামনে এসে দাঁড়াতে খুব
বেশি সময় লাগবে না।
ভাবি,সে সময় তারা কি
পালাবার পথ খুঁজে পাবে?
তখন তাদের সাধের সব
তরণীর সলিল সমাধি
হবে নাতো!