আমার বয়স টা আমার ছায়া-সঙ্গী।
যখন যা ভাবি,সব ভাবনাতে তবুও
সে দেয় না সিলমোহর।যখন দেখে
আমি অন্যায় কাজকে জানা কিংবা
অজানা বিপদে পড়ে ডুবে মরবার
ভয়ে,জলের গভীরতা বুঝে কোনও
প্রতিবাদ,তর্ক-বিতর্ক না করেই,পা
বাড়িয়ে চলে যাই অতিশয় ধীরে,
সে ঠিক বুঝতে পারে।
মাত্রাতিরিক্ত অন্যায় হলে,যদি দেখে
তার সহ্যেরও সীমা যাচ্ছে ছাড়িয়ে,
সে দাঁড়িয়ে পড়ে,আমাকে কাপুরুষ
বলে তিরস্কার করে।        
প্রায়শ আমাকে খুব ভাবায়।কোথায়
কী ঘটে সে-সব সরেজমিন দেখাতে
হাতটি ধরে আমাকে নিয়ে চলে যায়
কানাগলিতে কিংবা রাজপথে,কখনো
কখনো নেতা-নেতৃদের বৈঠকখানায়
এবং নানান অফিস-আদালতে।
সে আমাকে দেখায় নিয়ত,অসংযত
জীবনযাপন ও নৈতিকতার অবক্ষয়ে
মানুষ করছে কত কী অপরাধ মূলক
কাজকর্ম।দরিদ্র,অসহায় নরনারীদের
সে-পথে প্ররোচিত করাই যেন হলো
অপরাধীদের ধর্ম।
চোখে সাদা চশমা পড়ে চেয়ে দেখি,
সমাজ জীবনে পড়ছে তার প্রতিচ্ছবি।
সামগ্রিক ভাবে মানব সভ্যতার হচ্ছে
সলিল সমাধি।
আমার ছায়া-সঙ্গী চোখে আঙুল দিয়ে
সব দেখানোর পর একাকী বসে ভাবি,
বিশ্ব জুড়ে করোনার সংক্রমণ কালে
মানুষের ব্যক্তি জীবনে যদিও এলো
কিছু নিয়ন্ত্রণ,নৈতিক অবক্ষয় কমতে
এখনো বহু সময় বাকি।
দারিদ্র,মানুষদের যত না ঠেলে দিচ্ছে
অবক্ষয়ের পথে,অসাধু লোভী ব্যক্তিরা
অবক্ষয়কে চূড়ায় টেনে তুলতে চাইছে
তার চেয়েও দ্রুততার সাথে।দরিদ্রদের
যৌথ প্রতিবাদে আর করোনা ভাইরাস
যেভাবে করছে শাসন,মনে হয় অসাধু
সে-সব ব্যক্তিদের সাধের গড় ভাঙ্গতে
আর লাগবে না বেশি সময়।