জেনেছি বহু পুঁথিপত্র ঘেঁটে
আজও কেহ নাকি পৌঁছতে  
পারেনি অতলে।তার আগে,
মরেছে জলে ডুবে।
বলো,ক’জন আর এইভাবে
আত্মহত্যার পথে পা বাড়ায়?    
ঝুঁকি পূর্ণ এই পথের সন্ধানকারী
গোয়েন্দা কিংবা গবেষক
জোটানো ও কষ্টকর।
কী ভাবছো বসে একাকী?
জেনে রাখো,কালপুরুষ কে
সাক্ষী রেখে কষ্ট ও ভয় কে
জয় করে এ-পথের সন্ধান
করতে বেড়িয়ে পড়েছি।
তারপর?
বহু সাধ্যসাধনা করে তবে
ভাগারে ঝোপঝাড় সরিয়ে
শেষে খুঁজে পেয়েছি অতলে
তলিয়ে যাওয়ার যে সুড়ঙ্গ
পথ,বাজি ধরে আজ বলতে
পারি,সে পথ খুঁজে পাওয়া
খুব দুষ্কর।
মসৃণ সেই পথ ধরে এখন
চলে এসেছি বহুদূর।যতদূর
চোখ যায় দেখছি চারিদিক
অন্ধকার।ঠারেঠোরে হাতড়ে
দেখছি সামনে উন্মুক্ত পথ।
বুঝেছি,শেষ প্রান্তে পৌঁছনো
এখনও বাকি।এদিকে চলছে
ভোটের প্রস্তুতি।
বলো দেখি,এ সময় মাঝপথ
থেকে ফিরে আসা সমীচীন
কি?তাই ভেবে রেখেছি,এই
পথ যতদূর যায় যাক,সদলে
তার শেষ প্রান্তে না-পৌঁছে
ফিরবো না আর।
এ প্রসঙ্গে জানানো দরকার,
এ-পথ থেকে ফিরিয়ে আনবে
এমন সাধ্য কার?
তাই এই কথাটি বলে রাখি,
অবাধে যেতে দাও,ডাকবে
না পিছন থেকে!