ঘড়ির কাঁটা টিকটিক শব্দ করে এগিয়ে যাচ্ছে।
সে-ই বলতে পারবে দিশেহারা বয়োবৃদ্ধের এখন
অগস্ত্যকে অনুসরণ করার সময় আসন্ন কিনা।
বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ঘটনা কিনা জানি না,
তবে এ-কথা বলার অপেক্ষা রাখে না,
নদী বিধৌত সমভূমিতে নয়নাভিরাম বাগ বাগিচা
গড়তে প্রকৃতিপ্রেমী চাষিদের সবারই সাধ জাগে।
তারও সাধ,গড়বে হুবহু বাঞ্ছা-রামের বাগান।
দিনমানে এ প্রচেষ্টায় বহু বিপত্তি।পথ রোধ করে
দাঁড়িয়ে পড়ে নিন্দুকেরা।বাড়া ভাতে ছাই দেওয়ার
প্রচেষ্টা ছাড়া আর কী হতে পারে?
বলি,সে জন্য এই মহৎ কাজ থেকে কেউ কি সরে
আসতে পারে?
নৈব নৈব চ,
বরং সরাতে হবে পথের কাঁটা।
ভবতারিণীর ভূমিকায় ‘পেগাসাস’ হলে ক্ষতি কি?
পথ রোধ করবে কে?
বিন্ধ্য পর্বত ও কাঁপবে ঠক ঠক করে।
সব বাধাবিপত্তি সরে গেলে,
অবাধ গতিতে মর্তে নামিয়ে আনবে মন্দাকিনীকে।
অনন্য প্রয়াস, মন্দ বলার কি জো আছে?
চলছে বেশ।
অগ্রগতি বোঝা যাবে সাফল্যের বান ডাকলে।
ঘড়ির টিকটিক শব্দগুলো এখন হিসাব রাখছে,
সাফল্য কতদূর গড়াচ্ছে।