সহিস,শোনো,আজ বলছি তোমাকে
যে সময় গণতন্ত্র নামক ঘোড়াটিকে
দেখভালের দায়িত্ব জনগণ দিয়েছিল
তোমাকে,বলো,সে সময় দেখেছ কি
তার কোনও বেয়াদবি?
যতদূর জানি তার সংযত আচরণ
ছিল গর্ব করার মতন।বলি,নির্ঝরে
স্বপ্নভঙ্গ হলো এখন এই ঘোড়াটির
হাল হকিকত দেখে।অশেষ কষ্টেই
অশ্রু ঝরছে তার দুচোখে।
দেখেছি ঘোড়াটির পিঠ ক্ষতবিক্ষত।
সেই সাথে চাবুকের অজস্র কালশিটে
দাগ।সেসব দেখে সজাগ অনুভূতিতে  
বুঝতে কোনও বিলম্ব হয়নি আমার
তুমি যে ঘটিয়েছ রক্তপাত।
বলো,ঘোড়াটি করেছে কি বেয়াদবি?
কি কারণেই নির্বিচারে চাবুক মেরে
তাকে করেছো কুপোকাত।
গণতন্ত্র,আজ তোমার জীবনে বড়ো
দুঃসময়।কি জানি কখন কী ঘটবে,
নিয়ত জাগছে ভয়।সজাগ থাকো।
সাহস সঞ্চার করো।প্রতিবাদী হও।
তুমি হয়ে ওঠো দুর্ভেদ্য দুর্জয়।
সহিসকে বলছি,ভেবে দেখেছো কি
কেমন হতো তোমার এই উদ্ধত
আচরণ যদি তোমার দিকে ফিরে
আসতো কখনও?
সহিস,তুমি কি জানো তোমার এই
কর্মকাণ্ড সবদিকে হলো জানাজানি?
বলি,মন দিয়ে শোনো এই কথাটি,
‘সেদিন অবসরে গিয়ে বসেছি এক
চায়ের দোকানে।দেখি,ক’জন লোক
সেখানে বসে এই কর্মকাণ্ড নিয়েই
করছিল বলাবলি।সে সময় দোকানি
কী বললো সেকথা শুনবে নাকি’?
বললো সে,‘উদ্ধত আচরণ নাকি
অজ্ঞদের শেষ ভরসা।বলো,এসব
কথা শুনে প্রতিবাদের আছে কি
কোনও ভাষা?
সহিস,যত্ন সহকারে এই ঘোড়ার
করতে হবে চিকিৎসা।আর তার
দেখভালের জন্য তোমার উপর
নেই জনগণের কোনও ভরসা।
কষ্ট হলেও তোমাকে বিদায়ের
এই বেলায় বলতে হচ্ছে আজ
সেকথা।