লাল ঘুড়িটার কথা কি ভোলা যায়?
প্রায়শ মনে আঁকুপাঁকু খায়
আজও সে ঘুড়ি ঝুলছে ছাদের কার্নিশে
নড়াচড়া করছে মন্দ বাতাসে।
মনে পড়ে যৌবনে উড়তো পাখির মতন
তাকে ওড়াতো যখন।
এক সময় সুতা পুরাতন হলো
বার্ধক্য আঁকশির মতো আঁকড়ে ধরলো
সময় বইলো নিজ খাতে
তবু উড়তে হলো কোনমতে
শক্তি-হারার সামর্থ্য ছিল না
সইতে পারে কি হাওয়ার দাপট?
থামতে চেয়েছে তার জীবনরথ।
সুতা পাল্টানোর প্রয়োজন
বোঝা দরকার ছিল
নয়তো থামবে হৃদয় স্পন্দন।
জীবনের শেষ প্রান্তসীমায়
যমদূত দুয়ারে দাঁড়ায়ে তার অপেক্ষায়।
তবু সুতা পাল্টানো হলো কোথায়?
ঝুঁকি নিয়ে সেটি ওড়ালো যারা
ভাঙ্গলো তার শিরদাঁড়া
হায়রে,কি করে বোঝাই
বোঝেনি ঘুড়ির লড়াই হলে নিস্তার নাই!
কাটাকুটি চলবে যখন
হারাতে হবে সুতার জীবনধন।
হলোও তাই,প্রতিষ্ঠিত হলো সে সত্যটাই!
দেখলো সকলে দূর থেকে
পাক খেয়ে কাটা ঘুড়ি
উড়ে গিয়ে বাঁধলো ছাদের কার্নিশে
যারা ওড়ালো কিবা খেলা দেখলো রসে বসে
তারা দিশেহারা
কারো সামর্থ্য হলো না সেটি নামিয়ে আনার।