বলি,অন্তরে টানটান উত্তেজনা
অনুভব করেছি নতুন অজানা
বিশ্ব পর্যটনের আগে।
মনে হলো,কে যেন সে সময়
মেঘ লোকে থেকে বলে গেল,
‘যাবে তো বটে,তবে সেসবের
আগে ‘মন’এর কাছ থেকেও
কিছু তথ্যাদি সংগ্রহ করলে
ক্ষতি কি’?
তোমাকে বলি,সেকথা তখন
মনে হয়নি অমূলক।তারপর
সেই ‘পর্যবেক্ষক’ এর কাছে
থেকে যে কথাগুলো শুনেছি,
শোনো।সে বললো অক্লেশে,
‘সামুদ্রিক প্রাণী,অরণ্যের পশু
ও নভ-চরদের মতো মানুষ
সে গ্রহে তাদের বসবাসের
অনুকূল পরিবেশ খুঁজে নিয়ে
সেখানে বাসও করতে পারে
অনায়াসে’।
ভাবছো টা কি?বসতি গড়তে
গেলে তক্ষনি পাশের লোকের
সাথে হবে ঝগড়াঝাঁটি?বললো
সে,‘সে প্রশ্ন ওঠে না।সেখানে
কারোও আছে নাকি জমির
মালিকানা?
জবরদখল?সেও অচল সেই
বিশ্ব-মায়ের কঠোর শাসনে’।
অবাক লাগছে,তাইতো?তার
কথাটি শুনে।
একথাটি জেনে রাখো,মানুষ
বোঝে না বটে তবে প্রকৃতি
সব স্থানে করেছে প্রাণীদের
বাসের বন্দোবস্ত।পেঙ্গুইনের
জীবনযাত্রা একটিবার ভেবে
দেখো তো।
তোমাকে বলবো কি,মানুষও
প্রকৃতির সাথে এমন ভাবেই
নিজেদেরও মানিয়ে নেয় যে
তারা কোনও এক জায়গায়
বসতি গড়তে অযাচিত ভিড়
করে না,কখনও।ভেবে দেখো,
সাইবেরিয়ার মতো প্রতিকূল
পরিবেশেও মানুষ বাস করে
কেন?আসলে স্রষ্টা বাস্তুতন্ত্রটা
সে ভাবেই গড়েও রেখেছেন
আগেভাগে।
তোমাকে বলবো কী,সুমেরু
অঞ্চলের প্রাণীদের যদি ভিন্ন
কোনও এক জলবায়ু অঞ্চলে
বসবাসের জন্য ঠাই দেওয়া
হয় তবে তারা স্বচ্ছন্দ বোধ
করে না কখনো।
বলি,শুনেছি আরো কত কী!
তোমাকে সেসবও শোনাবো।
তবে একটা বিরতির পরে।
সেজন্য একটুখানি অপেক্ষা
করো।