নতুন বিশ্ব সম্পর্কে অজানা
বহু তথ্য জানার কৌতূহলে
যখন মুখচোরা ‘মন’কে ধরে
দিয়েছি খুব সুড়সুড়ি,সে'সময়
গত্যন্তর না-পেয়েই সে বলে
দিলো সেই বিশ্বের যাবতীয়
খবরাখবর।ঝর্ণাধারার মতো
গড়গড় করে যে কথাগুলো
বললো,এবার সে' কথাগুলো
তোমাকে শোনাবো।
প্রকৃতিস্থ হয়েই বললো সে,
‘সেই বিশ্বের সকল জনগণ
নাকি সামগ্রিক পর্যালোচনা
করে দেখেছে,‘বিশ্বে সাম্য
প্রতিষ্ঠার পথে চূড়ান্ত বিঘ্ন
ঘটায় অর্থ এবং সম্পদ’।
একটু ভেবে দেখো,তাদের
এই ভাবনার সাথে তুমি কি
সহমত?
ভাবো,এই বিষয়টিকে কেন্দ্র
করে বহু বিত্তশালী পৌঁছেও
যায় নির্দয়তার শৈল চূড়ায়।
মানুষ মানুষের উপর নির্মম
অত্যাচার করতেও দ্বিধাবোধ
করে না।
এই বাস্তব সত্যি মেনে নিয়ে
তারা প্রথমেই সমাজটি থেকে
সমূলে উৎপাটন করেছে সব
‘টাকাকড়ি’।সাহস যে ভারী!
ভেবেছি,এবার গোটা সমাজটা
খাবে নাতো মাটিতে লুটিয়ে
পড়ে গড়াগড়ি?
বলিহারী ই বটে!শুনবে নাকি
আরও কী কর্ম করেছে তারা
তড়িঘড়ি।সেকথা বলি,শোনো।
‘ধনী-দরিদ্রে বিভেদ বৈষম্য
ঘোচাতে তারা তুলে দিয়েছে
নির্বিবাদে সব দ্রব্যসামগ্রীর
লেনদেনে প্রচলিত অর্থকড়ির
ব্যবস্থা।একথা শুনে ভেবেছি
তারা খুঁজে পাবে কি বেঁচে
থাকার কোনও রাস্তা?
তারা তাদের যার যা সম্পদ
ছিল সেসব ও পৌঁছে দিয়েছে
বিশ্ব-মাতার ভাণ্ডারে।এবার
ভাবো,‘কী অবস্থাটা দাঁড়ালো
সকলের ঘরে ঘরে’।
জানি না,কী ভাবছো তুমি!
সে কথাটি শুনে মাথা-কুটে
পণ্যের লেনদেনের আগেকার
‘বিনিময় প্রথা’ ছাড়া আমি
ভাবতে পারিনি বাঁচার আর
বিকল্প কোনও রাস্তা।তখনি
মনে হয়েছে,সেখানে দেখবো
না তো চরম অব্যবস্থা?
বলি,হতবাক হয়েছি সে সময়
তার কথাটি শুনে।মনে হলো,
কে যেন নিয়ত হাতুড়ি দিয়ে
ঠুকছে মাথায়।টনটন করতে
শুরু হলো শিরায় শিরায়।
বলো,কে এমন কাণ্ডকারখানা
শুনেছে আগে?তখন সে' দেশে
যাবো কি যাবো না,সেসবও
ভেবেছি রাগে।
সে আরও কী বললো,জানো?
‘এই বিশ্বের সব সম্পদ তো
বিশ্ব মাতার।মা ও তার সন্তান
সব বিষয় সম্পদ করবে কী
বেচাকেনা?চরম দুর্দিনেও সেই
প্রশ্ন ওঠে না’।
শোনো,সেই বিশ্বে লেনদেনের
ব্যাপার বুদবুদের মতো উবে
গেলো।পরিবর্তে সেথায় স্থান
পেলো সব ক্ষেত্রে,‘অর্থ-বিনা
আবশ্যিক পরিসেবা।
সেথায় সামগ্রীদের বেচাকেনা,
আয়,ব্যয়,সঞ্চয় সহ এযাবৎ
ব্যাঙ্কের পরিসেবার ব্যবস্থাটা
হলো ভ্রান্ত ধারণা।
‘অদ্ভুত’ কিছু একটা ঘটতে
যাচ্ছে,তাই না?সেই বিশ্বের
কর্মকাণ্ডগুলি চলছে কিভাবে
জানাবো আবার একটুখানি
বিরতির পরে।