কল্পনায় বলাকার মতো
ভেসে পৌঁছে গেছি হয়তো
এমন একটি বিশ্বে যেখানে
স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদ
বিশ্ব-জননীর হস্তগত আর
সে সম্পদ মজুত ভাণ্ডারে
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায়।
ভাবছো,অর্থের প্রচলন বন্ধ
হওয়ায় সে সমাজটি অন্ধের
মতো দিশা খুঁজে পেতে কি
হাতরে বেড়ায়?
দেখেছো কি আগে অর্থকড়ির
প্রচলন বিহীন এরূপ সমাজ
ব্যবস্থা কখনও?
শোনো,বিগত রাতের অদ্ভুত
ঘটনা।অজ্ঞানতার অন্ধকারে
থেকে সেথায় সামগ্রীর সুষম
বণ্টন ব্যবস্থাটি কেমন হতে
পারে সে বিষয় অন্ধের হাতি
দেখার মতো হাতড়ে খুঁজেছি
রাত জেগে।ভাগ্য বিড়ম্বনায়
তখন সমাধান সূত্রটি পাইনি
নাগালে।
কী আর বলবো তোমাকে!
আদিমকালের অরণ্যবাসীরা
খাদ্য শিকারের পরে সেসব
যে ভাবে বিলিবন্টন করতো
সে ব্যবস্থা ভিন্ন অন্য কোনো
কিছুই তখন ভাবতে পারিনি
নিজের অক্ষমতায়।শরীরটা
কাঁপতে লাগলো ব্যর্থতায়।
সে দুর্দশার কথাটি ভাবছো
নাকি?কী বলবো তোমাকে,
নিরুপায় হয়ে তখন হয়েছি
প্রত্যক্ষদর্শীর শরণাপন্ন।
সে আমাকে সেই সভ্যতার  
পরিসেবার অজস্র শর্তাবলী
ও সমাধানের উপায় গুলো
অবগত করতে ধরে নিয়ে
চললো সে দেশে।
শোনালো সে শর্তাবলী মেনে
বীজগাণিতিক সমীকরণদের
গঠন ও সমাধানের উপায়।
তোমাকে বলবো কী,একাগ্রে
তার সেই কথাগুলো শুনতে
শুনতে কখন যেন অজান্তেই
পৌঁছেছি সমীকরণ গুলোর
সমাধান অঞ্চলে।
এবার খোলসা করে বলছি
তোমাকে?জেনে রেখো,সেটি
খুব পিচ্ছিল পথ।পা হড়্‌কে
যাওয়ার ভয়।পা টিপে চলা
ছাড়া নেই গত্যন্তর।
দেখেছি সেথায় বিশ্ব-জননীর
মূল মজুত ভাণ্ডার যেন এক
বিশাল জলাধার।তার থেকে
পাইপলাইনের মতো সরবরাহ
ব্যবস্থার মাধ্যমে সামগ্রীগুলো
পৌঁছয় বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত
ছোট জলাধারের মতো মজুত
ভাণ্ডারে।পরে বাড়ি বাড়ি জল
সরবরাহের মতো বন্দোবস্ত।
দেখেছি,কোনও বাড়িতে নেই
মজুত ভাণ্ডার,সঞ্চয়ের কোনও
বন্দোবস্ত।জেনেছি,বিশ্ব-জননী
সঞ্চয় এবং অপচয় এর ঘোর
বিরোধী।তিনি সেসব কাজকে
করেন না বরদাস্ত।  
বণ্টন ব্যবস্থার পরে এবার কী
উৎপাদন ব্যবস্থা জানতে ইচ্ছা
করে?তবে একটু অপেক্ষা করো।