ভাবি,এবার হতে হবে জটিল
বিষয়,সেই বিশ্বের উৎপাদন
ব্যবস্থার মুখোমুখি।কাঁটার
স্তূপে ঝাপ দেওয়ার আগের
মুহূর্ত যেন।সবদিকেই দেখি,
ঝাপসা।ভাবি,তবে কি আজ
বিশ্ববাসীরাই ভরসা হারিয়ে
ফেলছে নাকি?
তবুও কুয়াসা সরিয়ে চলো
যাই সেই বিশ্বের উৎপাদন
ব্যবস্থাটি দেখে আসি।
এই বিষয়টি নদীর উৎসের
মতো শৈশবকাল থেকে শুরু
করলে ক্ষতি কি?
শৈশব,বাল্য ও কৈশোর এই
দিয়েই শুরু হোক যাত্রাপথ।
বলি,রেখো না মনে সংশয়।
উৎপাদনের কাজে তাদেরকে
যুক্ত করা কোনও সমাজের
মুখ্য উদ্দেশ্য নয়।এক্ষেত্রেও
ব্যতিক্রম দেখিনি মোটে।
দেখেছি বয়ঃক্রম কে মাথায়
রেখে সেখানে মনোবিজ্ঞান
ও শারীরবিজ্ঞানকেই ভিত্তি
করে সর্বাঙ্গীণ শিক্ষার দিক
নির্দেশিকা ও তার যথাযথ
বন্দোবস্ত।শিশুরাই তাদের
মানসিক চাহিদা অনুসারে
শেখার বিষয়টিকে নির্বাচন
করছে নিয়ত।শিক্ষকেরাও
অন্ধের যষ্টির মতো তাদের
স্বাবলম্বী করতে ব্যস্ত।
কচুরিপানারও যেন জমার
সুযোগ নেই নদীপথে।দেখেছি
কর্ম-শিক্ষা ধাপে ধাপে দিয়ে
যায় কর্ম জীবনের প্রশিক্ষণ।
তোমাকে বলবো কী দেখিনি
আয়োজনের ঘাটতি কোথাও।
পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কেহ
অত্যাচারের শৃঙ্খলটি পড়ায়
না কখনও।
দেখেছি সেই শিক্ষাব্যবস্থায়,
পাতন প্রক্রিয়ায় পরিস্রুতের
মতোই যেন চুইয়েই পড়ছে
টুকিটাকি উৎপাদিত সামগ্রী।
ভেবেছি,একে বাড়তি পাওনা
ভাবলে ক্ষতি কি?
নদী,আপন ইচ্ছায় ঊর্ধ্বগতি
থেকেই পৌঁছায় মধ্যগতিতে।
ভাবছো কি,শিক্ষাক্রম শেষে
কী রয়েছে তাদের বরাতে?
না,বেকারত্বের কোনও জ্বালা
নেই,অর্থোপার্জনের যাঁতাকল
নির্মূল হয়েছে আগেই।তাদের
জীবন সংশয়ের নেই কোনও
প্রয়োজন।
অত্যাচারীদের শৃঙ্খলেও বন্দী
নয় সে যুবক যুবতীরা।তারা
শিক্ষাক্রমের শেষে নিজেরাই
স্বেচ্ছায় পা বাড়ায় তাদের
কর্ম জীবনে,যেন বিশ্ব মাতার
আমন্ত্রণে।
এবার যেতে হবে পরবর্তী
ধাপে।জীবন যৌবনে সকল
কর্মক্ষম ব্যক্তিরাই যোগ্যতা
ও কর্মদক্ষতা অনুসারে যুক্ত
হয়ে পড়ে সামাজিক সকল
কাজে।
দেখেছি বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে
সব কাজের শ্রমের মূল্যমান
আগে থেকে স্থির করে সেই
ভিত্তিতে বিষয়ে দক্ষ ব্যক্তিরা
পালাক্রমে প্রত্যেক ব্যক্তিকেই
যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে
সাম্যের নীতি মেনে করছেন
শ্রম বণ্টন।
বলছি ভেবে দেখো,নদীদের
জলধারা বাধার সম্মুখীন
না-হলে থামে কি কখনো?
প্রাণ চঞ্চল সে বিশ্বে দেখিনি
কারো অলসতা-স্পৃহা কিংবা
ফাঁকিবাজি।  
বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা সেথায় কাটান
অবসর বিনোদনে।টুকিটাকি
হস্তশিল্পের কাজকর্ম স্বেচ্ছায়
করতেও বাধা নেই তাদের
দেহ ও মনের আমন্ত্রণে।        
জননীরা গৃহকর্ম,বিষয়াদির
রক্ষণাবেক্ষণ,শিশু ও প্রবীণ
ব্যক্তিদের সেবাযত্নের পরে
অবসরে সাধ্যমত যুক্ত হন
স্বেচ্ছাশ্রমে।
দেখিনি সেই বিশ্বে বেকারত্ব,
বুভুক্ষা,শোষণ,অত্যাচার এবং
উৎপীড়ন কিংবা সীমাহীন
কর্মব্যস্ততা।
দেখেছি সকলেই কাজ করছে
ভালোবেসে।অবসরে মানুষেরা
রয়েছে খেলাধুলায়,সাংস্কৃতিক
চর্চায়,জ্ঞান আহরণের বিষয়ে,
গবেষণায় ও উদ্ভাবনী কাজে।