বলি,সাম্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছ
নাকি?তবে একবার ফিরে দেখো
ঝড়ঝঞ্জা কিংবা দাবানলের মতো
প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিঃস্ব সে সব
গোষ্ঠী ভুক্ত মানুষদের দিকে।
সমগ্র বিশ্ব জুড়ে এ দৃশ্য বিরল,
ভেবো না কখনও।তখন সেই
নেই-রাজ্যে কারো কাছেই অর্থ
নেই,সম্পদ নেই।তবে রয়েছে
তাদের কাছে সে বিশ্ব-মায়ের
আশীর্বাদ ও সাহায্যের অঢেল
প্রতিশ্রুতি।
দেখো,সেসব মানুষগুলোর বেঁচে
থাকার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয়
সামগ্রী মানুষের হাত মারফৎ
অচিরেই পৌঁছে যায়।সে যেন
শহরে পাণিয় জল সরবরাহের
মতো বন্দোবস্ত।
ভাবতেও অবাক লাগে গভীর
সমুদ্রে জাহাজ ডুবি হলে তখন
বিপদগ্রস্ত মানুষদিগকে নিরাপদ
আশ্রয়স্থলে পৌঁছে দিতে বহুদূর
থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ডলফিনরা
ছুটে আসে!
ভাবছি,বিশ্ব-মাতা করে রাখেন
এ কী বন্দোবস্ত!দেশ বিদেশের
বহু স্থান থেকেও তাদের জন্য
আসে অর্থ ও  নিত্য প্রয়োজনীয়
সামগ্রী।
আর নিঃস্ব সে মানুষেরা নেমে
পড়ে গড়ে তুলতে তাদের মাথা
গোঁজার ঠাই।দিনের শেষে তারা
একত্রে বসে পঙক্তি ভোজে।
বলতে পারো,এই দৃশ্য দেখেনি
কিংবা এ সব কথাও শোনেনি
সমাজে এমন ক’জন আছে?
জানি না,এসব কি ঘটে স্রষ্টার
নির্দেশে যখন সমাজে অসাম্য
জাঁকিয়ে বসে?
সে সময়ে সে খণ্ডিত ভূখণ্ডে কি
দেখতে পাও না সাম্যের কোনো
প্রতিচ্ছবি?
এবার দেখো,কিভাবে সে স্থানে
উন্নতি ঘটে।পাশাপাশি,সে কাজে
মনুষ্য সৃষ্ট অর্থকড়িগুলি সাম্য
সৃষ্টির পথে তখন কিভাবে বিঘ্ন
ঘটাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ভাবো,ক্ষতিগ্রস্ত খণ্ডিত ভূখণ্ডের
মানুষেরা সে সময় কি নিশ্চুপ
বসে থাকে?
নিশ্চয় নয়।দেখো,তারা তখন
সমাজ গঠনের কাজে কিভাবে
ঝাঁপিয়ে পড়ে।
জানি না,বিশ্ব-মাতা সাম্যের
ভিত্তিতে তখন সমাজ গঠনের
নির্দেশ দেন কিনা!তবে দেখি
অর্থশাস্ত্রে বিজ্ঞ মানুষেরা এবং
বহু জনদরদী তাদেরকে অর্থ
সাহায্য দিয়ে সে সময় সাম্য
ভিত্তিক সমাজ গঠনের কাজে
চরম বিঘ্ন ঘটায় সে বিষয়েও
সন্দেহ নাই মোটে।
ভাবি,সে সময় অর্থে সাহায্যের
পরিবর্তে সে অর্থে তাদের জন্য
প্রয়োজনীয় যে কোনো সামগ্রী
কিনে দিলে ক্ষতি কী?
দেখো,ফলশ্রুতি।অচিরে সামনে
এসে দাঁড়ায় মূর্তিমান্‌ অসাম্য।
সুদূর থেকেও দূরবীনে দেখবে,
সেখানে জ্বলজ্বল করে উঠবেই
অসাম্যের প্রতিচ্ছবি।