মরুতে রোদের দাহন যন্ত্রণা সহে  
মরূদ্যানের খোঁজে নেমে অবশেষে  
এক তরুর দিশা পেয়ে ছুটে এসে  
পথিক ভাবছে তরুছায়াতলে বসে    
পঙ্কিল জলাশয়ের উপরে ভাসমান
কচুরিপানার মূল ছড়ানোর মতো  
সমাজের পাঁকে গুচ্ছ-মূল ছড়ানো  
কুলাঙ্গার ভেসে বেড়ায় শত শত।


তাদের অসৎ উপায়ে রোজগারের
অর্থভাণ্ডারকে আঁধার কুটির হতে  
দেশের আইন বলবৎ তুলে নিয়ে  
সমাজের-উন্নয়নে সব বেকারদের  
কাজের বিনিময়ে নানান প্রকল্পে  
তাদের সুগঠিত হাতে তুলে দিলে
অবলীলায় এই দেশে গড়ে উঠত
লাবণ্যময়ী বাগিচা সম ভুখা-মুক্ত  
প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর একটি জাগ্রত      
সমাজ যার ভিত হতো শক্তপোক্ত।


এই দুরাচারের শিকড়ের তলদেশে
কতখানি পঙ্কিল মাটি জমে আছে  
তারি সন্ধানের নিমিত্তে এই দেশে
কত না মাটি খুঁড়তেই হবে শেষে।