শোনো,এক দূরভাষ আসছে ভেসে
পরীক্ষা-নলে দু’টি কোষ মিলেমিশে
পিতামাতার স্বপ্ন-দীপ কে জ্বালাতে
উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক নির্ভয়েই আসছে।    


অঙ্কুরিত সেই ভ্রূণ প্রত্যাশা করে
প্রস্ফুটিত হবে নিজের মাতৃ-জঠরে।
এখন সমাজ ভুগছে ভীষণ জ্বরে
তার ঠাইও দুর্লভ বিশ্ব সংসারে।


সমস্যা কখনও হয় গর্ভে ধারণে
মায়ের বিভিন্ন শারীরিক কারণে।
তাদের সমস্যা নিয়ে নেই সংশয়
সেসব নয় আজ আলোচ্য বিষয়।  


দেখি,কড়ির দম্ভে কেহ অতি-ভারি
গর্ভে ধারণের কষ্টও সইতে নারি
জেনেছে সারোগেটের জঠর-ভাড়া
এখন নয় তাদের সাধ্যের বাড়া।


তাদেরই কতিপয় ভাবে রাতদিন
কি কারণে কষ্ট সইবে প্রতিদিন?
তাদের ভাবনায় সারোগেট মা-র
উষ্ণ আলিঙ্গনেরও নেই সমাদর।


অর্থের দম্ভে মানবতা-হীনা নারী
তুল্যমূল্য বিচারে নয় কখনও ভারী,
সারোগেট মায়ের উষ্ণ আলিঙ্গন
অর্থের চেয়েও যথার্থই মহা ধন।


জ্যোতিষ্ক কি বলছে অস্ফুট স্বরে
মা-র সেও জানার ইচ্ছা নাই রে,
সেসব ভ্রূণ দের জঠরে দিতে ঠাই
সারোগেট মাতাদের জুড়ি নাই।


ক্ষুধায় অন্ত্রে প্রদাহকে সাথী করে
সেই মায়েরা কাটান জীর্ণ কুটিরে।
তাদের দেহের নিঃসৃত সুধা পানে
জ্যোতিষ্করা ভূমিষ্ঠ হবে যথা ক্ষণে।


তারপর সামান্য অর্থের বিনিময়ে
সারোগেট মা-দের সইতে হবে যন্ত্রণা।
দারিদ্র,তুমি করেছো তাদের মহান
ক্ষমা গুণে কে আছে তাদের সমান?


তাদের ক্ষরিত স্তন্য দুগ্ধ যাবে ভেসে
তবুও পাষাণভার বুকে চেপে হেসে
শিশুকে সঁপে দেবে সেই মা-র কাছে
যার শিশু প্রতিপালনের সাধ মিছে।


ভাবি,সারোগেট মা,নির্মম দুনিয়ায়
তুমি প্রতিপালিকা,কোনও অজানার।
অর্থের বিনিময়ে লাখো কর্মী যথা
প্রতিদিন ঘাম ঝরায় হেথা–হোথা।