অর্জুনের মতোই সে মস্ত বড় বীর
    লক্ষ্য ভেদে সদা স্থির,
ঝুললে গাছে কোনও নজর কাড়া মীন
     হোক সে কাজ কঠিন
মিনমিন করা সয় কি বীরের ধাতে?
    তারও সই তো না মোটেই
লক্ষ্য ভেদে তীর ছুঁড়তে না-দাঁড়িয়ে পারে?
      মুখ বুজে যাবে সরে?
কোনও বীর পুরুষের এসব কর্ম নাকি?
     লোকে ছি ছি করবে নাকি?
ফিরলো নাকি বীরপুরুষ লক্ষ্যভেদ করে  
     আলোচিত হলো ঘরে ঘরে।
কান পাতলে শোনো যায় একাদিক্রমে
     সে নজির গড়লো বীরভূমে
পরাক্রমশালী ‘বাঘ’ বলে লোকে চেনে
     জনসমক্ষে সবাই মানে
একদিন ঘটলো তার জীবনে আজব কাণ্ড
    কালবৈশাখী করলো লণ্ডভণ্ড
যম যেন এসে তার পথ আগলে দাঁড়ালো
    এবার সে একটু ভয় পেলো
লুকোচুরি ও দড়ি টানাটানি খেলা চললো
    সব খেলাতেই হারতে হলো
যমদূতেরা তাকে যমালয়ে নিয়ে গেলো
      মুখ তার বেজার কালো
ওরা পুঁটী মাছের মতোই পেট টিপলো,
      সব কথা বের করলো।
জেনেছে ওরা বাঘ অপকর্ম কম করেনি
    হরিণ বধ করতে তর সয়নি।
ওরা বললো যমের দরবারে হবে বিচার
    ফল কী দাঁড়ায় সেটাই দেখার।