চারিদিক থেকে ধেয়ে আসা তীব্র দাবদাহে
খরার কবলে পড়ে সুদীর্ঘ কাল মানবিকতার
গূঢ় চাষাবাদ হয়নি বিশেষ।জমিতে ধরেছে
ফাটল।সীতার পাতালে প্রবেশের জন্য যেন
প্রস্তুত হয়ে আছে সকল আয়োজন।মরু প্রায়
জমিতে জন্মেছে বাবলার মতো কাঁটা গাছ।
কিছু কচি পাতাও জন্মাচ্ছে বেশ।
সেই দেখে ডাগর ডাগর চোখে ঈর্ষা পরায়ণ
উটেরা  গলা বাড়িয়ে খেতে চাইছে তাদের
কচি পাতা।কাঁটার ঘায়ে ওদের গাল বেয়ে
রক্ত ঝরেছে। তবুও বাবলাদের বংশ লুপ্তি
ঘটাতে তাদের প্রচেষ্টার নেই শেষ।
চাষীরা শুনেছে মরুভূমির আর্তনাদ।তারা দুখে
বুকে এক রাশ যন্ত্রণা নিয়ে চাষাবাদের প্রয়াসে
বাবলার ছায়াতলে ঠায় বসে খুঁটে খুঁটে দেখছে
চারিপাশে ভূমিতে জমেছে কত কাঁটা।কাঁটাগুলি
সাফাই করতে ব্যস্ত চাষীরা কখনো হতাশায়
মাটিতে ঠুকছে মাথা।
আকাশের ঈষান কোণে এক ফালি মেঘ উঁকি
দিতে দেখে তারা সদলে বৃষ্টি নামবে ভেবে
লাঙল নিয়ে নেমেছে মাঠে।পাথরের মতো
শক্ত জমিতে লাঙলের ফলার ঘর্ষনে উঠেছে
আগুনের ঝলকানি।পাশাপাশি সোচ্চার যেন
মানবতার প্রতিবাদীদের কর্কশ ধ্বনি।
ঘামে সিক্ত চাষীরা ক্লান্তিতে ধরাশায়ী হয়ে
বসেছে বাবলাদের পাশে।তন্দ্রায় চোখ বুজে
আসে।স্বপ্নপরীর সহচরী যেন হেসে তাদের
খুলে দিয়েছে স্বপ্নের কুটিরের চাবি।দেখেছে
তারা দুর্যোগ ঘন ঘোর।গঙ্গা পদ্মায় এসেছে
প্রলয় কারী বান।হাবুডুবু খেয়ে তারা সাঁতার
কেটে নদী তীরে পৌঁছে গেছে শেষে।