আজকাল দেয়ালে কান পাতলে শোনা যায়
কালের স্রোতে মানবিক মূল্যবোধ নিম্নগামী
কিনা সেটাই নাকি এখন সমাজের সর্বত্র
মুখ্য আলোচ্য বিষয়।মনে জাগে ভয়।
তখনি ভাবি শিক্ষার ক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির
তাগিদে তবে কি ঢুকছে কোনও গুপ্ত ঘাতক?
সংশয়ের দোলাচলে একান্তে বসে এই
বিষয় ভাবনাকে ক্রিকেটের ব্যাটে সপাটে
ছক্কা হাঁকিয়ে মাঠের বাইরে পাঠানোর মতো
স্পর্ধা না দেখিয়ে ভেবেছি আমরা কি চলছি
অগ্রগতির পথে,নাকি এই কালের স্রোতে
আমরা যাচ্ছি পিছিয়ে।
বিষয় ভাবনাকে কিছুটা মান্যতা দিয়ে মনের
চিন্তা ও চেতনাকে সহস্রধারা র মতো ছড়িয়ে
আলো হাতে শিক্ষায় অন্ধকারের উৎস খুঁজতে
কতদূর অবধি পিছিয়ে যেতে হবে ভেবেছি
অবসরে।
দেখেছি দেশের স্বাধীনতা লাভের পরে এই
জাতির নব জাগরণ স্থায়ী হয়নি বেশি দিন।
অতি অল্প সময়  পর থেকেই শুরু হলো
মানবিক মূল্যবোধ কে বিসর্জন দিয়ে যেন
ব্যক্তি মালিকানায় দেশে সম্পদের শ্রীবৃদ্ধি
ঘটানোর অতি তৎপরতা।কতিপয় জনগণের
মানবিক মূল্যবোধে লাগলো ক্ষয়রোগ।
জাতিসত্তার চেয়েও তখন ব্যক্তিসত্তা অমূলক
প্রাধান্য পাওয়ায় দেশে মুখ থুবড়ে পড়লো
দেশাত্মবোধ ভাবনা।
শিক্ষার জগতে ধূমকেতুর মতো নেমে এলো
উপদ্রব।শুরু হলো জাতির মেরুদণ্ড কে
ভাঙ্গার জরুরী কাজ।শিক্ষকদের ও শিক্ষার
মানের অব মূল্যায়ন ঘটানো হচ্ছে দেখে শিক্ষাবিদদের কপালে পড়লো চিন্তার ভাঁজ।
বিলম্ব হলেও আজ এই ব্যাপারে রুখে
দাঁড়ানোর হয়েছে সময়।এখন প্রত্যাঘাত
ছাড়া আসবে না কখনো শিক্ষক দিবসের
সার্থকতা।এই ব্যাপারে মনে নেই কোন সংশয়।