শীতের প্রাতে মোরগের ডাকে      
ঘুম থেকে উঠে মন্দ আলোকে      
ঘন কুয়াসার চাদরকে সরিয়ে        
চাষি তার শরীর যন্ত্রকে দুলিয়ে
রস সংগ্রহের সমস্ত কাজ সেরে  
খেজুরের রস নিয়ে গৃহে ফেরে।  


দারিদ্রের সাথে নিয়ত সংগ্রামে
ক্লান্ত সাঁড়াশির মতো সেই চাষী
ভাবে সে সমস্ত গুড় হাটে বেঁচে    
যে সামান্য অর্থটুকু পাবে শেষে      
সেই রোজগারে গৃহে সবাকারে      
থাকতে হবে না সেদিন অনাহারে।          


প্রাতঃ কাজ সেরে মিঠে রৌদ্দুরে      
বসে গৃহিণী রসটা হাঁড়িতে ভরে      
উনুনে জ্বাল দিতে আপনার মনে      
পত্র-গুল্মাদি জোগান দেন উনুনে।    
গৃহিণীর পাশে তারই ছেলে বসে      
নিজের পাঠ শেষ করলো উল্লাসে।    


ছুটি প্রার্থনায় মায়ের দিকে চেয়ে      
দেখে জননী রয়েছেন ভয়ে ভয়ে।      
জননী তার অশ্রু সিক্ত দুটি নয়ন    
অতিশয় কষ্টে যেন করেন সম্বরণ।        
জননী ভাবেন এই সুমহান দেশে        
অনাহারে মরণ ঘুচবে কি শেষে?