এ-পাড়ার এক বাবু মশাই
শুনতে পেলাম টাকার বাণ্ডিল তার খাদ্য খাবার!
একশ’ ও দু’শ টাকার নোটে রুচি নাই
পাঁচশ’ ও দু’হাজারের নোট চাই।
‘ভোজন রসিক’ বলে সবাই চেনে তাকে এক ডাকে!
বলছে লোকে ভোজ বাড়িতে বাবুমশাই গেলেন খেতে
গোগ্রাসে গিলতে গিয়ে হেঁচকি উঠলো খাবার পাতে
এক দু’টো নয়, হাজার খানেক তো বটেই।
এখন নাকি গিলতে তার বেজায় কষ্ট,
শুয়ে আছেন জেলের গারদের খাটিয়াতে।
শরীর তার বড্ড খারাপ, আরোগ্য লাভ হয়না মোটে
সামনে যতই সাজিয়ে দাও টাকার পাহাড়
কী আর করার! বলতে হচ্ছে খিদে নাই,
এছাড়া সে বলবে কী?
এমন হলে শত অনুরোধেও ঢেঁকি গেলা যায় নাকি?
বলছে লোকে হাটে বাটে জটলা করে
তার এমনি পেট ফুলেছে বিপদও হতে পারে
তাকে খাবার পরিবেশন করলো যারা
বলছে তারা গোগ্রাসে সে গিললো দেখে
নিয়তি নাকি খাবারে বাদ সেধেছে।
  


(এ আসরে ২৮-১১-২০২২ তাং এর ‘ শিক্ষিত-অশিক্ষিত-২’ কবি গোপাল চন্দ্র সরকার>এ কাব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে কবিতাটি শ্রদ্ধেয় প্রিয় কবিকে উৎসর্গ করা হলো।)