মেঘ জমেছিল,বৈশাখী ঝড়েরও সম্ভাবনা ছিল
বলা ভালো,তবুও সে ঝড় এতদিন হলো কৈ?
সে সময় কুচক্রীদের জোরালো হুমকিও ছিল
ওরা ঘোলা জলে মাছ ধরতেই পাকালো দই।


এটাই সত্য, অসত্য যখন নেমে-পড়ে উল্লাসে
নির্ভীক সত্য, পরিণাম ভেবে মাথা ঠুকে মরে।
হায়রে, বুঝি না কুচক্রীরা তবুও কোন সাহসে
সদম্ভে সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।


দেখেছি শিয়রে সংকট, তবু সত্যনিষ্ঠরা অবিচল
সত্য-প্রতিষ্ঠা করতে গেল তারা বাবুদের দুয়ারে
সুবিচারের আশায় আদালত অবধি গড়ালো জল
সেখানেও যেন মেঘের ঘনঘটা, বিপর্যয় শিয়রে।


আদালতে এক পর্যায়ে দেখেছি বিচার ব্যবস্থাকে
সে যেন কালের অভিসম্পাতে চক্রব্যূহে অভিমন্যু
বিচারের মানদণ্ড দুলতে লাগলো এদিক সেদিকে
দেখেছি বিচারক আজও বঞ্চিতদের প্রতি সুপ্রসন্ন।


এখন রাতের ঘোর অন্ধকার কাঁটার অপেক্ষায়
পূর্ব-দিগন্তে দেখো কাস্তের মতো আশার আলো
চাকরীর পরীক্ষায় প্যানেলভূক্ত হয়েও অসহায়
ক্যানসারে আক্রান্ত সোমা দাস, নজির গড়লো।

দেখালো সত্য প্রতিষ্ঠায় সে কতখানি নির্ভীক
ক্যান্সারের সাথে জীবনে লড়াইয়ের পাশাপাশি
প্যানেলভূক্তদের দাবী আদায়েও বিশ্বস্ত সৈনিক
সোমা,সমাজের মুখে ফোটাও কৌলীন্যের হাসি।


(শ্রীমতী সোমা দাস রেখেছে তার প্রতিভার
সাক্ষর।শিক্ষকতার চাকরীর পরীক্ষায় কৃতকার্য
ও প্যানেলভূক্ত হওয়া স্বত্বেও বঞ্চনার শিকার।
জীবন যুদ্ধে লড়াই করছে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে
সেইসাথে চাকরীতে বঞ্চনার বিরুদ্ধে শীত,গ্রীষ্ম,
বর্ষায় রাজপথে।দীর্ঘদিন চলছে সংগ্রাম।অত্যন্ত
সৎ,বিনয়ী ও সত্যনিষ্ঠ শ্রীমতী সোমা দাসের
ব্যক্তিত্বকে কুর্নিশ জানাই।
পরম মঙ্গলময়ের নিকট তার দ্রুত আরোগ্য
কামনা করি।)