শোনো, বহু দুঃখকষ্ট মনে স্তরে স্তরে
জমে হয়েছিল যেন একেবারে একখণ্ড
পলল পাথরের মতো,খুব ভারাক্রান্ত।
সে কষ্ট লাঘবের জন্য চেষ্টারও ত্রুটি
ছিল না। অনেক কথা বলার ছিল।
সে আর বলা হলো না,রইলো বাকি।
এখন কী করি? স্মৃতি-ঝাঁপিতে তুলে
রাখি!
এটুকু শুধু জেনে রাখো, অব্যক্ত সেই
কথাগুলো বেশ তিক্ত!ভেবেছিলাম,তবু
তোমাকে শোনাবো।
ভালো হতো,খসাতে পারলে ভগ্ন দশায়
প্রাচীন অট্টালিকায় হতভাগা পলেস্তরার
মতো ঝুলে থাকা বহুদিনের ক্ষোভের
আস্তরণ।
দুখ ভার বয়ে বেড়াতে হতো না আর।
সেও হলো কৈ?
ভাবিনি,তুমি এতোই অবুঝ! বুঝলে না
মৌনতার কারণ। অব্যক্ত সে কথাগুলো
কেড়ে নিয়ে ক্ষোভগুলো নিষিক্ত করতে
পারলে না।
জানি না,এ শিলার পরিণতি কী হবে,
ভালে কী লেখা আছে!
ভিসুভিয়াস নিজেই শান্ত হলে ভালো,
তবে সে ক্ষীণ সম্ভাবনা, কেননা তুমি
শুনিয়েছিলে বহু আশার বাণী,ভূতলে
নামিয়ে আনবে সবার জীবনে সুখের
স্বর্গখানি।
সে ছিল প্রলোভন,বুঝি এখন তোমার
অভীষ্ট লাভের জন্য করেছিলে অজস্র
মিথ্যাচারের নিকষ ছলনা। জানো,সেটি
বুঝতে আর কিছু বাকি রইলো না।
অপরাহ্ণ। দেখো, এখন জঙ্গি বাহিনীর
মতোই হানাদার কালো মেঘে ঢাকছে
আকাশ। দেখছো কি, বজ্র-বিদ্যুতের
ঝলক। ঠক ঠক করে কাঁপছে ভূতল।
কে জানে,উঠবে কি বৈশাখী ঝড়?
শোনো, বলবো কী আর,বুঝেছি এখন,
তোমার কথাগুলো জরিপে ভুল ছিল।
পরিণতিতে জীবনে সাফল্যের মিনার
গড়া হলো না।
এখন ভেবে রেখো যা সম্ভাবনা! কোনও
একদিন এ ঝাঁপিটি খোলার সাথে সাথে
অব্যক্ত সে কথাগুলো বিষধর গোখরোর
মতো ফণা তুলে তোমাকে ছোবল দিতে
তেড়ে আসবে কিনা!