এযাবৎ সাত দশক পেরিয়ে গেছে
দেশ ভাগ হলো,তবুও সেরে ওঠেনি
দেশ ভাগের ক্ষত।
দেখছি নিয়ত খালবিল,নদীনালার
কচুরিপানার মতো আজও ভাসমান
সেই নাগরিক সমাজের দিকে।দুর্গতি
কাকে বলে!দেশ ভাগের ফলশ্রুতি,
দুঃখকে বুকে অন্তঃসলিলা নদীর
মতো তারা বয়ে বেড়াচ্ছে আজও।
জন্মদাত্রী রাষ্ট্রের কাছে জানতে ইচ্ছা
করে কী অপরাধে তারা অপরাধী?
দেশ ভাগে তাদের কি ছিল সম্মতি?
দেখি,দ্বি-জাতি তত্ত্বের উপর ভিত্তি
করে দেশ ভাগের কারণেই তারা
কিবা তাদের পূর্বপুরুষ নিজেদের
জন্ম-ভিটে থেকে বিতাড়িত।
যদিও জল গড়ালো বহুদূর।তবুও
অনেকেই আজও খুঁজে পায়নি মাথা
গোঁজার স্থায়ী আশ্রয়স্থল।নিয়মিত
ঠিকানা বদল করে তারা অনেকেই
সন্তান সন্ততিদের নিয়ে আজও
বিভিন্ন ভাড়াবাড়িতে দিন যাপন
করছে যেন যাযাবরের মতো।
বাসস্থান,শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের
বিষয় যখন তাদের ভাবাচ্ছে নিত্য,
সেসময় আবারও জনগণদের খেলা
দেখাতে নামলেন বাজিকর।
তার বাঁশির সুরে বাজছে জাতপাত
ও ধর্মের বিদ্বেষ।এ যেন একেবারে
গোঁদের উপর বিষফোঁড়া,জাঁকিয়ে
বসলো তাদের অন্তঃস্থলে।
যেখানে অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদেই
সুদীর্ঘ কাল তাদের ঘুরে বেড়াতে
হয়েছে যাযাবরের মতো কিংবা
আত্মরক্ষার তাগিদে দেশের সীমা
অতিক্রম করতে হয়েছে একেবারে
পলাতকের মতো,এ কথাটি বলা
কষ্টকর তাদের কাছে দেশত্যাগের
বৈধ সব কাগজপত্র,এতকাল পরে
পাওয়ার সম্ভাবনা কতদূর?তাছাড়া
জাতি-দাঙ্গার ভয়।আত্মপরিচয়ের
সাথে অনুপ্রবেশ নিয়ে আবার কি
জানি কী হয়?
বাসস্থান,শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান
এ সব সমস্যা নিয়ে ভাবার আর
জনগণের অবকাশ কোথায়?
বলো,এই অবস্থায় সাপদের মতো
গর্ত খোঁজা সমীচীন নয় কি?