বলি শোনো,দেখছি তাকে
পণ্ডিতম্মন্য।কিন্তু তার সব
কাজকর্ম এতই জঘন্য যে  
সেসব পর্যালোচনার পর
এখন অনেকেই করছে
হাঁসফাঁস।
তবু সে থোড়াই ভাবছে।  
এই যেমন সে ছাড়া কে
আছে এ যুগের কালিদাস
যে বড় গাছের মগডালে
বসে বাঁদরের মতো করে
রঙ্গ তামাশা,তাছাড়া কাটে
ডালটির গোড়া?একবারও
ভাবে না মাটিতে লুটিয়ে
পড়বে হুড়মুড়িয়ে।
তাকে নিয়ে যখন ভাবতে
বসেছি অবসন্ন মন তখন
যেন ঘুমিয়ে পড়তে ব্যস্ত।
বাধ্য হয়ে তাকে সুড়সুড়ি
দিয়ে সজাগ করেই তখন
প্রশ্ন করেছি,‘বলো তো,এই
কালিদাস,সুবিশাল গাছের
মগডালে উঠলো কিভাবে?
উত্তর টা মন্দ হয়।বললো,
‘জনগণ একেবারে মাথায়
করে তাকে সযত্নে তুলেছে
গাছে।
ভাবছি বসে,মতিভ্রম হলে
মানুষ কত কি করে বসে!
শেষে একসময় ভুল বুঝে
পরিত্রাণের পথ খোঁজে।
এখন তারা ভাবছে বসে,
মগডালে বসে সে যতই
করুক রঙ্গ তামাশা,বারণ
না শুনে যে ভাবে কাটছে
ডালের গোড়া,তখন সে
হুড়মুড়িয়ে পড়বে শেষে।
তারপর তাকে নিয়ে শুরু
হবে হাসপাতালে ছুটোছুটি।
সেসব এখন শুধু সময়ের
অপেক্ষা মাত্র।
ভাবছি,করতে  হবে ভুলের
প্রায়শ্চিত্ত।কে জানে,তাদের
আরো কত কি যে সইতে
হবে দুর্গতি!