‘নমি ধর্মাবতার’!
একথা বলে মাটিতে লুটোপুটি!একী করলো
কাকাতুয়া? দেশ বিদেশ ঘুরতে গিয়ে অচিন
কোনও দেশের এক আদালতে ধর্মাবতারের
কাছে পৌঁছে এ কর্ম করে উঠে দাঁড়ালো সত্য
বিবৃতি দেবার করতে অঙ্গীকার।
বললো পাখি, ‘কার ঘাড়ে ক’টি মাথা আছে
জানার উদ্দেশ্যে চরকির মতো দেশ বিদেশে
সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বনবন করে ঘুরতে
গিয়ে সে নাকি পৌঁছলো সেই আদালতে।
পরের ঘটনা? সেও ভাবালো সাথে সাথে।
কী জানি,ক্ষতে জড়িবুটির প্রলেপনের মতো
সমাজকে রক্ষাকবচ দিতেই কি পাখি উড়ে
গেলো সেখানে?
চৈত্র মাস।দুপুর গড়িয়ে অপরাহ্ণ। আকাশে
ঝড়ের পূর্বাভাস।কালো মেঘের আনাগোনা।
এ অবস্থা দেখে সে নাকি অস্থায়ী ঠিকানা
খুঁজতে গিয়ে আদালত কক্ষের ঘুলঘুলিতে
যে কাণ্ড দেখলো তাতে নাকি তার চক্ষু
চরকগাছ!
বললো পাখি, ‘যেদিকে তাকাই দেখি ঘুঘু
বাসা বেঁধে আছে মজলিশে।বিপদের আঁচ!
সংশয় কিসে?’ তাই সে নাকি ধর্মাবতারের
মুখোমুখি।
বললো পাখি,‘ধর্মাবতার!আদালতে চত্বরে
সত্যকে ধামাচাপা দিতে কালো পোশাকে
কতিপয় বাবু উঠেপড়ে লেগেছে। বিস্মিত
হবেন, বৈকি আদালতের বিভিন্ন কক্ষের
দেওয়ালেও সব সময় ষড়যন্ত্রের বিকট
গন্ধ মাখামাখি’।
আরও কী বললো,জানো? বললো, ‘এক
কক্ষের বিচারকের বিচারের রায় নিয়ে
পাশের কক্ষের বিচারকের কাছে পৌঁছলে
পুনর্বিবেচনার উদ্দেশ্যে, পরবর্তী কক্ষের
ধর্মাবতার নাকি আগের বিচারকের সব
রায়,বাঘকে ঘুম পাড়ানো গুলিতে জব্দ
করার মতো,প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করায়
পূর্ববর্তী বিচারকের রায় মাটিতে পড়ে
খাচ্ছে লুটোপুটি’।
এ কী দুর্গতি? কালো মেঘের আনাগোনা
মোটেই থামলো না। উঠলো ঝড়,বৈকি!
বললো পাখি, ‘হে ধর্মাবতার!প্রতি ক্ষেত্রে
এমন কাণ্ড হতে পারে নাকি? সংবিধানকে
ছুঁয়ে দেশে আইনের সুরক্ষা দেবার শপথ
নিয়ে বিচারকদের এমন কর্মকাণ্ড চললে
দেশের জনগণের মনে বিচার ব্যবস্থার
প্রতি সন্দেহ জাগবে নাকি?