এ যেন এক অদ্ভুত ব্যাপার!
দেখো,বর্ণচোরা রক্তচোষারা
স্বার্থপরতার মাধ্যমে সর্বদাই
ওদের সব কাজ কর্মে বুঝিয়ে
দিচ্ছে ওরা যে পিশাচ দের
বংশধর।
দেখছো,অতৃপ্ত লালসায় ওরা
অবিবেচকের মতো সমাজের
কলিজা কেই যেন ছিঁড়ে খায়
সারা বছর?
ওদের অত্যাচারে,হায় রে,এই
সভ্যতার হলো এ কী দৈন্যদশা,
তাকেও ঠেলে দিলো অন্ধকার
কারাগারে।
আলো নেই,মুক্ত বাতাস নেই,
জনগণ হাঁসফাঁস করছে যেন
সব সময়।তবুও নেই কোনও
নিয়ন্ত্রণ।
ভাবি,এমন হওয়ার তো ছিল
না কখনো।সেটি হতে পারতো
একটি মনোরম তপোবন!ওরা
তার ঠিকানাটা বদলে দিয়েছে।
শুনেছি বর্তমান ঠিকানা নাকি
নরকের কাছাকাছি।
এ কথা শুনেই আঁতকে উঠছো
নাকি?বলি,হয়তো এভাবে চলবে
যতক্ষণ না জনগণের সহ্য সীমা
ছাড়াবে।দেখবে আরো কত কী!
হয়তো,মরুঝড়ও বইতে পারে
হেসে খেলে!
বাতাস বইছে এখনি সোঁ-সোঁ
শব্দে।কান পেতে শোনো সেই
নরপিশাচদের অত্যাচারে দুঃস্থ
মানুষেরা কাটাচ্ছে বন্দী দশায়,
অত্যাচারিত ওদের পোষ্যদের
মতো।গলায় ক্ষতচিহ্ন।পালাবে?
সে পথও নাই,বাঁধা রয়েছে যে
খুঁটিতে।অনিশ্চিত জীবন এবং
জীবিকা নিয়ে এখানেই থাকতে
হবে।
ওদের শোষণ নাকি ছাড়াচ্ছে
প্রান্তিক মানুষদের সহ্য সীমা।
তারা অসহায়।দেয়ালে মাথা
ঠুকছে চরম দুর্দশায়।
এই নখরদের আঁচড়ে তাদের
শরীর নীল হয়ে গেছে।তবুও
যৎসামান্য খুদের জন্য তারা
ছুটছে নখরদের পিছে পিছে।
তারাও নিরুপায়,সপরিবারে      
কাটাতে হচ্ছে চরম দুর্দশায়।
বলতে কষ্ট হয়,তবুও বলছি
শোনো,ক্ষুধার রাজ্যে খুদও
যেন অমৃত,অমূল্য সামগ্রী।
যাক গে,নরপিশাচ দের প্রসঙ্গে
ফিরে আসি।দেখছি,কাছ থেকে,
একটি অদ্ভুত ব্যাপার,সংঘবদ্ধ
মানুষদের ওরা খুব ভয় পায়।
ঠক ঠক করে কাঁপে।এই যেমন,
নির্বাচন ঘনিয়ে এলে ওরা ভয়ে
বিপদঘণ্টী বাজছে কিনা,দু’কান
পেতে শোনে সবসময়।ওরা তো
জানে,সে সম্ভাবনাই প্রবল।ঘণ্টী
বাজলে ওরা ভয়ে আঁতকে ওঠে।
তারপর?
ওরা ছলাকলায় খুব পারদর্শী।
ঠিক তখনি জড়িয়ে পরে দল
বদলের খেলায়,বানরেরা যা
করে।গাছের যে ডালে থাকে,
সে ডাল ঝড়ে ভাঙ্গবে বুঝলে
ভিন্ন ডালে সরে পড়ে।
আরও একটি অদ্ভুত ব্যাপার।
দেখো,সংকটকালে কুশীলবরা
তাদের সংকীর্ণ স্বার্থে বিভিন্ন
ধর্ম ও ভাষা ভাষী মানুষদের
আগলে ধরে ‘নির্বাচন’ নামক
খেয়া পারাবারে।
ভাবছো বুঝি দুঃস্থ মানুষেরা
তখন কী করে?বলি,শোনো,
জীবন-সংগ্রাম বড়োই কঠিন,
তবুও আত্মত্যাগের মাধ্যমে
বহু বীর বরেণ্য দেখিয়েছেন
এই বিশ্বে ক্ষুধাকে জয় করে
মানবতাকে সর্বদা দুর্বৃত্তদের
বজ্রকঠিন হৃদয় থেকে যেন
ছিনিয়ে আনতে হয়।
কিন্তু,বলো তো,এ রকম বীর
বরেণ্য ক’জন হয়?অমূল্য এই
জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে সেই
দীনদরিদ্র মানুষদিগকে সামান্য
খুদের জন্য রক্তচোষাদের পিছে
পিছে ছুটে বেড়াতে হয়।তারা
বাধ্য তাদের রক্ত এবং শ্রমের
বিনিময়ে রক্তচোষাদের কাছ
থেকে সামান্য খুদ হাত পেতে
নিতে।
বলি,নির্বাচন আসে বারবার।
আবার মিটেও যায়।নির্বাচনের
সময়ে জনগণ সচেতন না-হলে
বিপদ।ওরা জিতলে আবারও
নির্দয় ভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়ে
নিপীড়িতদের উপর।
এযাবৎ ভাগীরথী এবং পদ্মা
দিয়ে গড়ালও বহু জল।বলি,
নিরীহ মানুষেরা যদি নদীর
কলধ্বনি শুনে বিপদ বুঝেও
তাদের ভুল সিদ্ধান্তে অটল
থেকে ছোটে সে কুশীলব দের
পিছে পিছে,তাহলে তাদেরকে
হতে হবে আর একটা বড়ো
ঝড়ের মুখোমুখি।ভাবি,তারা
সতর্ক হবে কি?