রজনী!এক অজানা-অচেনা
উসকো-কেশী মলিন বসনা।
অতিশয় বিষাদে এই রমণী
রাতদিন নতজানু, বিরহিণী।
তার অন্তরে এক অন্তঃসলিলা,
বহিছে রমণীর বিরহ-জ্বালা।
তরণীতে দুলছে খণ্ডিত-স্মৃতি
প্রেমিকের শত শত প্রতিশ্রুতি।
সে সব ছিল অনন্ত দীপশিখা
আজকে মরুভূমির মরীচিকা।
একদা রমণী মেলেছিল ডানা
পরীবৎ ঘুরতে ছিল না মানা।
শুকতারাকে ধরতে চেয়েছিল
মেঘ-ধূম জালে বিভ্রাট ঘটলো।
শুক সন্ধানে বিফলতার পরে
অশনি-সংকেতের ভয়ে ডরে।
ফেরার সিদ্ধান্তে অবিচল রাগে
সম্যক ভাবেনি রমণী বিরাগে।
প্রেমিক হয়তো প্রেমের আবর্তে
প্রেম-দোলনায় ছিল একসাথে।
রমণী দোলন দেখেছে সভয়ে
ছন্দের মাধুর্য হারালো হৃদয়ে।
দেখেছে সম্মুখে লেলিহান শিখা
প্রেম-উপবনে সর্বপ্রথম দেখা।
দাব-দাহে বিরহিণী পুড়ে মরে
জঞ্জাল দাহে তাকে মুষ্টিতে ধরে।
ষষ্ঠীর রাতে আকাশ-গঙ্গা হতে
বার্তা ধেয়ে এলো ইথার-স্রোতে।
নিবিড় নিশীথে শুনলো রমণী
অশ্রুতপূর্ব সেই কমলার বাণী--
ওহে রমণী!সেই জঞ্জাল-স্তূপে
খুঁজেছ কখনো স্ফটিক,দরাজে।
সন্ধানে পেলেও পেতে পারো
সেথায় অমূল্য স্ফটিক,সুদৃঢ়।
এই ঘটনাও ঘটে বিপরীতে
সমাধান সূত্র তাদেরি হাতে।