বিস্ময় জাগে কাকাতুয়ার কর্মদক্ষতা দেখে।দেখেছি,
কাঠঠোকরা যেভাবে তার শক্ত ঠোট দিয়ে গাছের
কোটরে ঠুকে ঠুকে পোকামাকড় খুঁজে বের করে
আনে,সেভাবে ঘুণ ধরা সমাজের ক্ষত স্থান ঘেঁটে
সে বের করে আনলো বর্জ্য সামগ্রী।
জলভরা কলসি ধরে নাড়াচাড়া করলে যেমন হয়
ঠিক সেভাবেই সুকৌশলে তাকে খোঁচাখুঁচি করায়
কিছু তথ্য বের হলো তার মুখ থেকে।তবুও তার
তথ্যভাণ্ডারের গোপন কথাগুলোর সব বের হয়নি
মনের ভেতর থেকে।
তার বক্তব্য থেকে জেনেছি,প্রকৃতি ভুগছে ভয়ানক
অসুখে।নিয়ত অশ্রু ঝরছে দুখাতুরা প্রকৃতির চোখ
থেকে।একান্ত আলাপচারিতায় উপলব্ধি করেছে
সে,লাঞ্ছিত নিসর্গের মনে জমেছে গভীর ক্ষত।তবু
স্নেহাতুরা সহিষ্ণুতা বজায় রাখছে নিয়ত।
কাকাতুয়া বলেছিল অরণ্যে থাকা কালীন তার বহু
অভিজ্ঞতার কথা।জানালো,আয়লা ও আমফানের
মতো ভয়ঙ্কর ঝড় কিভাবে দুস্থ মানুষদের নিঃস্ব
করে দিয়ে গেছে।তখন তাসের ঘরের মতো নাকি
ভাঙ্গলো তাদের বাড়ি ঘর।তারা হারালো তাদের
শেষ সম্বল।
শুনেছি তার মুখ থেকে,তখন তীব্র ঝড়ের সাথে
বিষধর সাপের মতো ভয়ানক ফণা তুলে ধেয়ে
এলো সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস।প্লাবিত হলো কৃষি জমি
সহ মাঠঘাট।
তলিয়ে গেল অজস্র মানুষের বসতবাড়ি।বহু মানুষ
এবং গবাদি পশুর হয়েছে প্রাণহানি।অনেক আত্মীয়
পরিজনও হলো ছাড়াছাড়ি।তখন কেহ বন্যার জলে
ভেসে গেছে।চিরস্থায়ী আত্মীয় বিয়োগ ঘটেছে।
কাকাতুয়া বললো তখন যদিও বাবুদের মুখ থেকে
বেরোল গেল গেল রব,পরে তাদের অধিকাংশ যেন
সচেতন ভাবে তাদের মুখ ফিরিয়ে নিলো।লুটের
কারবারিরা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অনুদান লুটের সামগ্রী ভেবে তাতে তাদের ভাগে বখরার হিসাব করতেই তৎপর হলো।