পাহাড় ও অরণ্যের পাশাপাশি পর্যটনের
ও বিনোদনের আদর্শ স্থান সমুদ্র সৈকত
বটে।এ বিষয়ে কারো সংশয় নেই মোটে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় কাল অবধি
দেখেছি সারা বিশ্ব জুড়ে ভ্রমণ বিলাসীদের
বিনোদনের চাহিদা মেটাতেই নিত্য নতুন
পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠছে দেশ বিদেশের
বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে।
ভ্রমণ বিলাসী কাকাতুয়ার মুখ থেকে শুনেছি
সে নাকি বহুকাল যাবত সুন্দরবনে থেকেছে।
সুন্দরী,কেওড়া ও গরানের সাথে সে সখ্যতা
গড়েছে অদ্ভুত উল্লাসে।বনচরী হরিণেরা তার
প্রাণের দোসর।তাদের সাথে রোজ  সে গল্প
গুজবে মজেছে।
সুন্দরবনের সব দ্বীপ ঘুরে আসা কাকাতুয়ার
মুখ থেকে শুনেছি,সেখানে অরণ্যদের ধ্বংস
করে সমুদ্র সৈকতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার নেশা
জাগলো কতক সর্বনাশা অর্থলোভীর মগজে।
সেই করিৎকর্মারা সাথে সাথে নামলো বনানী
ধ্বংস করে সেথায় বিলাস বহুল পর্যটন কেন্দ্র
গড়ার কাজে।
ওরা সগর্বে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রকৃতির নিজের
হাতে গড়া কতিপয় বনানী।কাকাতুয়া বললো
সে স্তম্ভিত হয়েছে রক্ষাকবচ বিহীন অরণ্যের
রাণী এই সুন্দরবনের হাল হলত দেখে।
প্রকৃতির কান্না ও সে শুনেছে খুবই কাছ থেকে।
দেখেছে সে,ব্যথাতুর প্রকৃতি দুঃসহ কষ্টে যেন
অনিদ্রায় কাটালো বহু রজনী।ভাবি,সত্যিই কি
সহ্য করা যায় বিশ্বের সর্ব বৃহৎ অনিন্দ্য সুন্দর
নন্দনকানন এভাবে ধ্বংস প্রাপ্ত হতে দেখে।
বিস্ময়ে হতবাক কাকাতুয়া ও দেখলো কিভাবে
বিলুপ্ত হলো মূল ভূখণ্ডের আত্মরক্ষার দেওয়াল।
সেখানে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী মানুষদের দশা
হয়েছে বেহাল।বনানী ধ্বংস করে পর্যটন কেন্দ্র
গড়ার কারিগরেরা উন্মুক্ত করে দিয়েছে আয়লা
এবং আমফানের মতো ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ের
প্রবেশদ্বার।
এরপর থেকে বর্গী হানার মতো আগ্রাসী ভয়ঙ্কর
ঝড়ের মূল ভূখণ্ডে অবাধ প্রবেশ ঘটেছে।সত্যিটুকু
বলে রাখা ভালো হানাদার এসব সামুদ্রিক ঝড়ের
আক্রমণ এই প্রথম নয়।আগে ওরা হানা দিয়েছে
বহুবার কিন্তু ঘন অরণ্য সজারুর মতো দৃঢ়তার
সাথে প্রতিবার সেসব ঝড়কে সম্পূর্ণভাবে প্রতিহত
কিংবা দুর্বল করেছে।ম্রিয়মাণ ঝড় গুলি তখন মূল
ভূখণ্ডে প্রবেশ করে বিষধর সাপের মতো ছোবল
দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
কাকাতুয়া দেখে এসেছে এখন উন্মুক্ত প্রবেশ দ্বার
দিয়ে ভয়ঙ্কর ঝড় গুলো মূল ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে তার
শরীরে বিষদাঁত বসায় অনায়াসে।