বলছি শোনো,কাকাতুয়া বলে গেল,
‘দেশ প্রেমে মত্ত হয়ে কানাই বৃন্দাবনে
বসে বাঁশি বাজালে তখনি জনগণের
উপর অকারণে নেমে আসে সাঁড়াশি
আক্রমণ’।
শোনো,গাছে বসে আরো বললো সে,
‘ক’দিন আগেই তার বাঁশিটির সুর
শুনে চাষিরা ভুগলো ব্যাপক জ্বরে।
পরে বদ্দিকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়লো
ঘরের বাইরে’।
বললো পাখি,আগেও নাকি দেখেছে,
‘কানাই বাঁশি বাজালেই এই রকম
ঘটনা ঘটছে বহুবার।সমাজ উত্তাল
হয়েছে বারবার’।সে আরো বললো,
‘ভাবো,স্মৃতিপটে সেটি করতে হবে
কি চিরুনি তল্লাস’?পাখিটির মুখ
থেকে শুনেছি,‘এখন কানাই এর
বাঁশি শুনে অনেকে হারিয়ে ফেলে
আত্মবিশ্বাস’।
ইদানীং কনকনে শীতে যে ঘটনা
ঘটলো তার দৌলতে,তাকে দুঃস্থ
ব্যক্তিদের উপর খাঁড়ার ঘা বলা
যাবে কিনা জানি না!তবে এখন
এই ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নাই
সে বাঁশি বাজালেই সমাজে খরা,
বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগের সাথে
লড়াই সংগ্রামের পরেও চাষিদের
নিস্তার নাই।
হয়তো তাই ভুঁই-ফোঁড়ের মতোই
অযাচিত শীর্ষ সংবাদে উঠে এলো
বেমানান ‘কৃষি আইন’।
বলো,চাষিরা নীল চাষিদের উপর
নির্মম অত্যাচারের অতীতের স্মৃতি
কি ভুলতে পারে?তারা কি চাইবে
সেসব ঘটনাবলী আবারও আসুক
ফিরে?
ঘর পোড়া গরুর মতো অবস্থায়
আতঙ্ক সবাইকে করবে তাড়া,এটা
করতে পারি না অস্বীকার।দেখছি
তাই,ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি রুখতে
আগাম সতর্ক হয়ে চাষিরা করছে
অঙ্গীকার,‘যে কোনো প্রকারে কৃষি
আইন’ রুখবে এবার।
হয়তো ফল্গু নদীর জলধারা গড়াবে
আরও বহুদূর সমাধান সূত্র বের
হওয়ার আগে।তাই সকলের কাছে
নিবেদন,‘এই ব্যাপারে যেন সবার
শুভবুদ্ধি জাগে’।