মনে হয় নয় মাস নয়,করোনা
ভাইরাসের ভয়ে যেন কতকাল
মাথা গুঁজে ঠাই নিয়েছি গর্তের
ভেতর!
তবু মনে নিয়ত জেগেছে ভয়,
কখন কী যে হয়?প্রকৃতির এই
পাঠশালা থেকে শিক্ষা না-নিলে
যা হয়।
জানি,কেহ বলবে এটা কোনও
অমূলক ঘটনা নয়,বিবর্তনের
ধারায় ভাইরাসের গঠন এবং
চরিত্র নিয়ত বদল হয়।
মানি,সে কথা।বিজ্ঞানের সত্য
করি না অস্বীকার।সেও ভাবি,
বিজ্ঞানের‘ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া’এই
ব্যাপারটা থাকে কি শুধু জড়
বস্তুর সীমানায়?
তোমাকে বলবো কী,এ সময়
মনে জাগছে অবিরাম সংশয়।
মনে হয় এ ঘটনা যেন বদ্ধ
গণ্ডির সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে
পড়ে বহুদূর।
সেই বিশ্বাস থেকে বলছি এখন,
প্রকৃতি নিধনের কর্মযজ্ঞে নেমে
আমরা সকলে যে অন্যায় কাজ
করেছি এতকাল,তার প্রতিক্রিয়া
এতো ভারী হবে,সে সব কেহই
হয়তো ভাবেনি আগে।
কী ভাবছো বসে?ফোয়ারার
মতো কোনো ভাবনা বেরিয়ে
এলো কি এখন মনের ভেতর
থেকে?নয়তো যা বলি শোনো,
‘মনে প্রাণে তাকে স্বীকার করি
কিংবা না-ই করি,এই শিক্ষাটি
ছিল খুবই জরুরী’।
দুঃখবোধ হলেও এ কথা সত্য,
এ অপরাধ স্বীকার করা দুরস্ত,
আজও সে বোধ জাগেনি যেন
অনেকের মনে।
জানি না,সে চেতনাটি জাগতে
লাগবে আর কত সময়?
দেখি,চারদিকে করোনা করছে
নির্মম অত্যাচার।তবু এই সময়
মনখারাপের ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে
থাকতে পারছি না আর।
জানি না,এই ঘটনাটি প্রকৃতির
প্রতিশোধ স্পৃহা থেকেই ঘটলো
কিনা!
এ-জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তির
প্রত্যাশী মন স্রষ্টার কাছে ক্ষমা
ভিক্ষা করে এখন কালের কাছে
করছে নিবেদন,‘এসো,হে নববর্ষ!
শ্বেতশুভ্র পারাবতের মতো,নয়তো
প্রকৃতির অবিচ্ছিন্ন সঙ্গীতের সাথে
সঙ্গতি রেখে আলতা মাখা ছোট্ট
ছোট্ট পায়ে নাচের ভঙ্গীতে’।
গির্জায় গির্জায় শুরু হলো এখন
‘শুভ নববর্ষ’-এর কামনায় প্রভু
যীশুর কাছে প্রার্থনা।এই শুভক্ষণ
মনের দুয়ারে টোকা দিতেও নেই
মানা।  
ওই শোনো,বাজছে যেন কোনও
নূপুরের ধ্বনি।ছোট্ট ছোট্ট পায়ে
কে যেন এসেছে দুয়ারে।‘নববর্ষ’!
সে আসবে হাসি মুখে,এ বিশ্বাস
জাগছে মনে।
‘শুভ নববর্ষ’কে স্বাগত জানাতে
বাজাও শঙ্খধ্বনি।সেই সাথে যেন
বেজে ওঠে দুঃখ-দুর্দশা সমন্বিত
বিদায়ী বর্ষের বিদায় ঘণ্টাধ্বনি।