বলতে দ্বিধা নেই গুগলের কাছে
জানতে চেয়েছি চাষাবাদের কাজে
চাষিদের ঘামের দরদাম ক’জন
নজরে রাখে?
বলবো কী তোমাকে,দেখেছি এই
প্রশ্ন শুনে সবজান্তা ও ভিন্ন দিকে
মুখ ফিরিয়ে বসে থাকে।তাইতো
বলি,কাটা ঘুড়ির মতোই তাদের
মন্দ বরাতের কারণেই চাষিদের
জীবনে এসব ঘটনা ঘটে!
এই কথাটি বাস্তব সত্য তাদের
উৎপাদিত ফসলের গায়ে অদৃশ্য
কালিতে যে দরদাম লেখা আছে,
কেহ রাখে না সে খবর।
সে বিষয় সমূহ যে ভাষায় লেখা
সেটিও পাঠোদ্ধারের চেষ্টা কেউ
করেনি আজও।
বলছি,‘তুমি কি ভাবছো বসে?
একটু তাকালে দেখবে,সমাজের
এই জন গোষ্ঠী আজও কাটাচ্ছে  
ঘোর দুর্দশায়,অথচ তাদের এই
উৎপাদিত ফসলের এক বিরাট
অংশ প্রত্যহ পচে গলে নষ্ট হয়
অবিক্রীত অবস্থায় হাটে-বাজারে,
শুধুমাত্র হিমঘরের অভাবে’।
ভাবো,দেশমাতার সংসারে তার
সন্তানেরা এই ব্যাপারে উদাসীন
না-হলে এই ঘটনাটি কি ঘটতে
পারে?প্রতিটি মাণ্ডিতে চাষিদের
ও জনগণের স্বার্থে যে হিমঘর
দরকার ছিল তার ও সমাধান
হয়নি এখনও।
জেনে রাখো,ভ্রান্ত-নীতি অস্বচ্ছ
বস্তুর মতোই চাষিদের জীবনে
আলো আসার পথে প্রতিবন্ধক
হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে একেবারে
বিন্ধ্য পর্বতের মতো আর সব
চাষিরা তারই প্রচ্ছায়ার গহন
অন্ধকারে তাদের মাথা কুটছে
নিয়ত।
চাষিদের চোখেমুখে বিষণ্ণতার
কালো ছাপ।দেখো,ভ্রান্ত-নীতির
বদল চেয়ে সমাজের বিবেকের
দিকে তাকিয়ে আছে তারা।