কেউ দেখে না?
একথা আর বোলো না,
যা বলেছ সেকথা বলতে মানা! মুখে কুলুপ আঁটো,
জানো না, বদলেছে জামানা?
মনের ভিতর যতই করুক উথাল পাথাল
খাল কেটে কুমীর ডেকে আনতে যেও না,
দোহাই, যা বলেছ মুখ খুলে আর বোলো না।
ভাবতে পারো, ঘটছে যে আজব কাণ্ডখানা
সবার চোখে কি ঠুলি? কেউ দেখে না?
বলি, বাহুবলীদের কথা আছে জানা?
চুপ! জানলেও কাউকে বোলো না ওদের ঠিকানা
ওদের আজব কর্মকাণ্ড, সেও না।
কেননা দেওয়ালেরও কান আছে,
সে বোধ হয় বলতে হবে না।
ওদের কর্ম দেখে মেজাজ তেলেবেগুনে উঠলে জ্বলে
দিও না আগুনে ঘি ঢেলে,
যদি দেখো ওদের কর্মকাণ্ডে মনে বাঁধ মানে না
সেসব ঢেকে রাখতে চাপা দিয়ে দাও ঢাকনা,
যদি বাঁচাতে চাও সাধের পরাণ
জেনে রাখো, বহু দৈত্য দানবের হয়েছে উত্থান
তাই চলতে হবে খুব ভেবে
দুষ্কর্মারা কাজ করে বাবুদের সাথে যোগসাজশে,
তাই তো তারা আছে বেশ উল্লাসে
এমন সহায় সম্বল পেলে ওদের ভয় কিসে?
ওরা একটুও নেই বসে, কোমর কষে
খাল, পুকুর, জলাশয় ভরাট করে করছে অবৈধ নির্মাণ
না-মেনে সরকারের বিধান
এখানেই শেষ নয়, করছে আরও কত কী!
শুনতে পাচ্ছো বাতাসের সোঁ-সোঁ শব্দ?
বোধ হয় তেড়ে আসবে ঝড়!
দেখছো, আত্মরক্ষার্থে করছে কী ভোঁদড়?
মনে হয়, সেটি সুরক্ষাস্থল খুঁজতে তৎপর।
সে যাই ঘটুক, বাতাস দিয়েছে খবর
‘শঙ্খচিল একাজে যুক্ত সকলকে দিয়েছে আশ্রয়,
বরাভয়, সে তার পাখায় রেখেছে ঢেকে।
আরও বলতে হবে?
তবে দেখো দূরবীনে চোখ রেখে
কালনদী এখন গুমরে মরছে পৌঁছে এক বাঁকে!
সত্যি ঘটনা এবার হয়তো হলো জানা
এরপরও বলবে, কেউ দেখে না?
বুঝেছ নিশ্চয়, নজরে এলেও মুখে কুলুপ,
কেউ করলেও বিদ্রুপ, বলতেও মানা
বাহুবলীরা বাবুদের পোষ্য কিনা।
তারপরেও বলতে হবে রাতের ঘটনা? অ
মুখ খুললে বন্ধ হতে পারে তাদের লেনাদেনা।
বলবো কী আর, একথাও বলতে টু-শব্দ করলে
নিশ্চিন্তে থাকতে পারবে খাঁচাবন্দী পরাণপাখি?
তার চেয়ে ভালো রাতদিন থাকো চক্ষু মুদে
আর জপ করে যাও, রাধে, রাধে!’