কাকাতুয়া এলে নানান অজানা
বিষয়ে আলোচনা হয়,এ কথাটি
সকলের জানা।
সেদিন বলেছি,‘পাখি!বলতে কি
পারিস দেশের রাজকর্মচারী এবং
জনপ্রতিনিধিদের বিষয়েই তোর
আছে কি কিছু জানা’?  
দেখেছি এই প্রশ্নটি শুনে তার
মুখের ভাব এমনি হলো যেন
সে খেলো হাবুডুবু।তখনি মনে
মনে ভেবেছি,‘পাখিটিকে,আজ
করবো কাবু’।
জিজ্ঞেস করেছি তাকে,‘বলতো
পাখি,রাজকর্মচারীরা জনসেবা
করে কিনা’?
তোতলাতে লাগলো সে।তখনি
বুঝতেও দেরি হয়নি উত্তরটি
জানে না কিংবা এ বিষয়ে আছে
তার অস্পষ্ট ধারণা।
তবে সে জানে,‘কর্মচারী’দের
সর্বদাই ধরাবাঁধা কাজ আর
সে কাজ করছে বলে তাদের
মাস-মাইনে পাওনা।
জনপ্রতিনিধিদের বিষয় নিয়ে
তার সাথে আলোচনা করতে
গিয়ে দেখেছি তাদের বিষয়ে
পাখিটির ও রয়েছে বহু কিছুই
অজানা।
বলো,হার মানা যায় কি এতো
সহজে?বিজ্ঞের মতোই বললো
সে,‘তাদের তরী বয় একেবারে
ভিন্ন খাতে,তারা সকলেই কাজ
করে দিনে রাতে’।জানি, তুমি ও
এ ব্যাপারে বলবে এই কথাটি
সত্যি বটে।
শোনো,বললো পাখিটি,‘দেশের
জন প্রতিনিধিরা রাতদিন ধরে
জনসেবা করে বলে তাদেরকে
রাজকর্মচারী বলে না।
‘ভাতা’ নিয়েই সেবকরা ঘরে
ফিরে,তাদের কোনও মাইনেই
জোটে না।তাদের দুখের এসব
কাহিনী গুলো সাধারণ জনগণ
মোটেই জানে না।
বললো কাকাতুয়া,‘বলবো কী,
জনগণ সেসব নিয়ে ভাবেও না।
এ কথাগুলো জানলে তাদেরও
বুক ফাটতো যন্ত্রণায়’।  
বলবো কী তোমাকে,পাখিটির
কথা শুনে আমি পড়েছি তখনি
দুর্ভাবনায়।‘ভাতা’ নিয়ে অস্পষ্ট
ধারণা ছিল,এ কথা মানি।অল্প
ক’টাকা,বেকার ভাতার মতোই
হয়তো।
তাদের আনুষঙ্গিক কিছু পাওনা
আছে কি সাথে,ভেবেছি তক্ষুণি?
নয়তো,সংসার যে ভাসবে জলে।
পাশাপাশি সেও ভেবেছি ‘জনসেবা,
আত্মত্যাগ এসব শব্দগুলো যাবে
কি বিফলে?
তাদের ‘ভাতা’-এর পরিমাণ কে
নির্ধারণ করে?সে কথাও ভেবেছি
মনে মনে।মনে পড়লো,সে কথা
লেখা আছে সংবিধানে।
‘সংবিধান’-এ দুজনেই খুব অজ্ঞ।
এ বিষয়ে উভয়ের খামতি আছে
বুঝে তারা ভাতা ও আনুষঙ্গিক
কী কী পায়,না-পায় সেসব নিয়ে
আলোচনায় টেনেছি ইতি।