বর্তমান কালকে ক্রান্তিকাল বলে মনে হয়।
সময়ের পাপ-চক্রে দুঃস্বপ্নের বেড়াজালের
ভেতর গড়িয়ে চলতে দেখছি সমগ্র বিশ্বকে।
দেখছি আলোর অভাবের সাথে কুয়াশাও
ঢেকেছে তাকে।
চারিদিকে করোনার প্রাদুর্ভাব।লক ডাউনের
কারণে এই সময় প্রাণ চঞ্চল পৃথিবীও যেন
ঘুমিয়ে আছে।তারি মাঝে সাইরেন বাজিয়ে
অ্যাম্বুলেন্সগুলো এই নিঃশব্দের প্রাচীর ভেঙ্গে  
চুরমার করে করোনায় আক্রান্ত সহস্র মুমূর্ষু  
রোগীদের পৌঁছে দিচ্ছে হাসপাতালে।
দেখেছি জরুরী পরিসেবায় নিযুক্ত চিকিৎসক
এবং নার্সেরা সাথে সাথে রোগীদের বাঁচাতে
নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেন ক্রিকেট
খেলায় ব্যাটসম্যানদের মতোই বুক চিতিয়ে
নামছেন মাঠে।
শুনেছি চিকিৎসকদের মুখে,রোগীদের জিয়ন
কাঠি যেন উইকেট তিনটি যথা জীবন রক্ষা,
রোগ নিরাময় ও রোগীদের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতার উপরে বেল এর মতো স্থির থাকে।
চিকিৎসক ও নার্সেরা উইকেট ও বেল রক্ষা
করেন অক্লান্ত প্রচেষ্টায়।তাদের সাথে সর্বদা
পাশে থাকেন তাদের সহযোগীরা।
দেখছি এই দুঃসময়ে উইকেটগুলো ভাঙতে
উঠে পড়ে লেগেছে এক ত্রিশূলের তিন ফলা
করোনা ভাইরাস,সাইবার সন্ত্রাসী এবং তথ্য
প্রযুক্তির ফাইভ-জি।এই সময় মাঠে টানটান
উত্তেজনা।বল করছে করোনা।উইকেট ভাঙতে
প্রস্তুত উইকেট কিপার সাইবার সন্ত্রাসী আর
স্লিপে দাঁড়িয়ে আছে অত্যাধুনিক নেট প্রযুক্তি
ফাইভ-জি।
ক্লোজ ফিল্ডিং চলছে।বাকি ফিল্ডস-ম্যানরাও
যেন তৎপর হয়ে আছে।ব্যাটসম্যানদেরকে
সকলে ঘিরে রেখেছে।মাঠের এই অবস্থায়
চলছে উইকেট গুলি টিকিয়ে রাখার লড়াই।
বিপক্ষের খেলোয়াড়রা কি কম যায়?তারা
চাইছে বিনা রক্তপাতে সব ব্যাটসম্যানদের
পরাস্ত করে প্যাভিলিয়নেই ফিরিতে দিতে।
যখন বিশ্ব জুড়ে মানুষ করছে অস্ত্রে লড়াই,
বিশ্বকে ঠেলে দিচ্ছে আর এক বিশ্ব যুদ্ধের
দিকে,সে সময় ত্রিশূলের তিন ফলা হয়তো
বুঝিয়ে দিতে চায় বিনা রক্তপাতে কত কী
যে করা যায়।
শুনেছি দক্ষ বোলারটির আত্মপরিচয় নিয়ে
চলছে তুমুল বিতর্ক।কিন্তু উইকেট কিপার
এবং স্লিপের ফিল্ডস-ম্যানের পরিচয় নিয়ে
নেই কোন সংশয়।ওরা দক্ষ হচ্ছে বিজ্ঞানী  
ও প্রযুক্তিবিদদের সাহচর্যে,এই ব্যাপারে
কোনও বিতর্কের অবকাশ নাই।