জন্ম যখন দেয় মৃত্যুর নিশ্চয়তা    
ধরণীতে ঘটবেই প্রাণের নিস্তব্ধতা।    
এ যেন একটি নির্মম বাস্তব সত্য  
জাগতিক নিয়মের হবে না অনর্থ।  


মানব সভ্যতা বিকাশের জন্মলগ্নে    
সেই অশনি বার্তা ধ্বনিত হয়েছে ।
আগুন জ্বালাতে শেখার সাথে সাথে    
বসুন্ধরার ধ্বংসের বোধন হয়েছে।    


অগ্নিশিখা জ্বালাতে শিখে মানুষেরা
আনন্দের আবহে সীমাহীন উল্লাসে  
আতসবাজির ফুলকি সম উচ্ছ্বাসে  
ধ্বংসের আবহকে উসকে দিয়েছে।  


ভোগ ও বিলাসিতার উন্মাদনায়    
মানুষ উতলে উঠলো সেই লগনে।
কী পেতে পারে কিসের বিনিময়ে  
ভাবে নিকো কেহ সেই সন্ধিক্ষণে।    


চলছে প্রকৃতি নিধনের লীলাখেলা    
নরনারী যেন উল্লাসে মাতোয়ারা,  
তাদের কর্মকাণ্ডে বাড়ছে নিঃশব্দে  
আবহমণ্ডলের গড় উষ্ণতার ধারা।    


মৃত্যু পথযাত্রী কুষ্ঠ-রোগীর মতো    
আজ প্রগাঢ় ক্ষতচিহ্ন পর্বত গাত্রে।      
প্রদাহ-যন্ত্রণার ব্যাপ্তিতে দিনেরাতে      
প্রকৃতির অশ্রু ঝরে গলিত বরফে।  


বরফের আচ্ছাদন এখন ছিন্নভিন্ন      
কে জানে,‘প্রকৃতি কতটা অপ্রসন্ন’?  
গুমরে কাঁদছে যেন দুঃখী প্রকৃতি      
বাঁচার আশায়,খোঁজে সে নিষ্কৃতি।      


অধুনা ধরণীর উষ্ণায়ন লেখচিত্র    
উসকে দেয় তার প্রসব যন্ত্রণাকে,    
ঝলসে উঠবে সুনিবিড় অরণ্যাদি      
ধূমাগ্নি উদ্গিরিত হবে দিকে দিকে।      


অলক্ষ্যে সমগ্র ধরিত্রী হবে বন্ধ্যা        
হারাবো বনানী ঘেরা বসুন্ধরাকে।    
পুরুষানুক্রমিক প্রাণের স্পন্দনটুকু    
হারাবেই এই ধরণীর বক্ষ থেকে।        


সর্বত্র দেখা দেবে শ্মশানের গ্লানি      
প্রলয় সংকেত বইছে যেন এখনি।    
নিশ্চিহ্ন হবেই প্রাণীকুলের বসতি      
এটা প্রাণীজগতের শেষ পরিণতি।