অশান্ত বাতাস,
শঙ্খচিল তোলপাড় করছে আকাশ।
ওদের মুখ থেকে কর্কশ আওয়াজ বেরিয়ে
প্রস্তরীভূত শিলার মতো জমছে আকাশে,
কালো মেঘের ভাঁজে ভাঁজে।
শুনেছ?
-শঙ্খচিল গুলো বলে গেল,
‘বজ্রনাদের সময় সেসব শুনে নিও’!
বুঝেছি,শঙ্খচিল গুলোও খবর রাখে--
দেশে বেকারত্ব,নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির
এবং পেট্রোল,ডিজেল সহ রান্নার গ্যাসের
জ্বালানীর মূল্য বাড়ছে নিয়ত।
দেশের সম্পদ লুট,কৃষি আইন ও অজস্র
কেলেঙ্কারীর মতো ঘটনাও ঘটছে খুব!
বলি,রাখছ কি সেসব খবর?
আর,‘দেশের নবরত্ন’?
সেগুলো তো চোখ উল্টে পড়ে আছে!
‘পঞ্চত্বপ্রাপ্তি’ হয়তো ওদের ভবিষ্যৎ!
শুনি,‘দেশের উন্নয়ন’ নাকি বইছে উজানে,
নদীর স্রোতের মতো।
কাণ্ডারী বাইছ তরী?
ঝড় থামানোর প্রচেষ্টা---
‘বহুমুখী নদী প্রকল্পের মতো’ জনগণের
কাছে অবিরাম পৌঁছে দিচ্ছ উন্নয়নের
বার্তা।
শুধু কি তাই!
অধিকাংশ দুস্থ মানুষের কাছে পৌঁছে
যাচ্ছে অনুদানের অর্থ কড়ি,
ফুলঝুরি কিংবা তারা খসার মতো!
সেসব আসে কোত্থেকে?
একথা সর্বৈব সত্য,কান ধরে টানলে
শুধু মাথা কেন,শরীরটাও চলে আসে।
পেট্রোল,ডিজেল সহ রান্নার জ্বালানী
গ্যাসের উপর ক্রমাগত করের বোঝা
চাপালে,কে না জানে,তার প্রভাব পড়ে
সব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীর উপর?
তবুও সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছ নিত্য আর
আদায়ীকৃত করের কিছুটা একেবারে
‘লালি-পপের’ মতো বিলিয়ে জনগণের
মন ভোলানোর জন্য চালাচ্ছ অবিরাম
প্রচেষ্টা!
ভাবছো,দুস্থ,অশিক্ষিত ও অজ্ঞ মানুষের
কাছে সেসব যেন ফুঁ-মন্ত্র।সত্যি,তারা
বহুদিন আগে রাখতো না তাদের পরনের
ধুতির কাছার খবরাখবর।
শুনি,বদলেছে দিন।জনগণকে বোকা
বানানোর চেষ্টা?
কী ভাবছো,চালাবে আর কতকাল?
বলি,বাস্তবিক জনগণকে জীবন-যন্ত্রনা
থেকে মুক্তি দিতে চেষ্টা করো।
দক্ষ প্রশাসক জনগণের জন্য কর্ম সংস্থানের
সুযোগ সৃষ্টি করে ঘটায় বাণিজ্যের প্রসার,
বাড়ে কর্ম সংস্থান ও রাজকোষের অর্থ।
চাপাতে হয় না জনগণের উপর অত্যধিক
করের বোঝা।কমে বেকারত্ব।
বলি,কাণ্ডারি,অনেক হলো।সন্ধ্যাও ঘনিয়ে
এলো।এবার একটু ভাবো।দেশের সম্পদ
লুট,কৃষি-আইন প্রত্যাহার,বিদেশে কালো
টাকা পাচার বন্ধ করার পাশাপাশি চেষ্টা
করো শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে বেকার যুবক
যুবতীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার।বলি,
এছাড়া জ্বলন্ত সমস্যা গুলির সমাধানের
কোনও বিকল্প নাই।
বাতাসে কান পেতে শোনো,এখনি উঠছে
ঝড়,টাইফুনের মতো।তাড়াতাড়ি কাজে
নেমে পড়ো।