বলি,মনে কি পড়ে যে সময়ে
দেশটা ছিল বিদেশী শাসকের
শৃঙ্খলে বন্দী দশায়,সে সময়
ভাঁটির টানে যেন ধুয়ে মুছেই
গিয়েছিল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা?
রক্ষণশীল বধূর মতো লজ্জায়
সমাজও ঢাকলো তার মুখটা
অশিক্ষার অন্ধকারে।তারপরে
যা ঘটলো একটু ভেবে দেখো,
দুলকি চালে শিক্ষার বিস্তারে
জল গড়ালো বহুদূরে।
সে সময়ের অবস্থা একটু বলি।
জোনাকির মৃদু আলোর মতো
পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থার কিছুটা
অনুপ্রবেশ ঘটলো ও সেই সাথে
পরাধীনতার গ্লানির থেকে এই
দেশের মুক্তিকামী শিক্ষাবিদেরা
মৃতসঞ্জীবনীর মতো এ দেশের
শিক্ষা ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত করতে
চালালো্ প্রচেষ্টা,তবুও এ কথা
যেন সত্য,স্বাধীনতার মুক্তি-সূর্য
উঠলো যখন,তখনও এ দেশে
শিক্ষার প্রসার ঘটেনি সমাজের
সকল স্তরে।সমাজ টা ডুবেছিল
অশিক্ষার অন্ধকারে।
ভাবতেও অবাক লাগে সে সময়
বহু জায়গায় দু’পাঁচ খানা গ্রাম
ঘুরেও নাকি জুটতো না কোনও
শিক্ষিত যুবক ও যুবতী।এটাই
তখন এ দেশের নিয়তি।তখন
সংসদে পাঠানো সম্ভব ছিল না
দেশের সব স্থান থেকে শিক্ষিত
জন প্রতিনিধি।
দেশের সংবিধানকে যথোচিত
সম্মান জানিয়ে ও তার প্রতি
পূর্ণ আস্থা রেখেও বলতে হয়,
জ্ঞাতার্থে ডুবুরির মতো তথ্যের
তল্লাসে নেমেও সন্ধান পাইনি
কী ভেবে সংবিধান প্রণেতারা
সাংসদদের ন্যূনতম শিক্ষাগত
যোগ্যতা কী হতেই হবে তার
কোনও উল্লেখ করেননি।
ভাবছো নাকি তাহলে উপায়
কী?সংবিধানের খামতি দেখা
দিলে কে কিংবা কারা করবে
তার সংশোধন?বলছি তোমায়,
দেখেছি এই সংবিধানে উল্লেখ
রয়েছে সংশোধনের প্রয়োজন
হলে সংসদে আলোচনা করেই
সাংসদরা করবেন সে সিদ্ধান্ত
গ্রহণ।
এ তো স্বেচ্ছায় আত্মবলি দানের
মতো ব্যাপার।জানি না ঘাটতি
ছিল কিনা তাদের অভিজ্ঞতায়।
ভাবি,তারা কি ভাবেননি যদি
নিজেদের বিপদ ঘনিয়ে আসে,
তবে কি খুঁড়তে যাবেন নিজেরা
তাদের সমাধি?
দার্শনিকের মতো ভেবে চিন্তে
এই সিদ্ধান্তে এসেছি,সে সময়
এ দেশ গড়ার স্বপ্নেই বিভোর
যারা,তারা হয়তো ভাবেননি
দেশে সাংসদ নির্বাচনের সময়
অর্থ ও পেশীর বলে বলীয়ান
যারা তাদের কতিপয় হয়তো
ছলেবলে কালনাগিনীর মতো
সেই ছিদ্রপথে ঢুকে পড়তেও
পারে দেশের সংসদে।
অভিজ্ঞতার ঝুলি কে নাই বা
ওলটানো হলো।একটু ভেবে
বলো,দেশের কল্যাণে শিক্ষিত
জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্ব কেহ
করতে পারে কি অস্বীকার?
এখন মনে হয় দেশের সকল
প্রান্তে শিক্ষিত ও জনপ্রতিনিধি
হতে ইচ্ছুক এমন যুবক এবং
যুবতী আর দুর্লভ নয়।
তাই সাংসদ হওয়ার ন্যূনতম
শিক্ষাগত যোগ্যতা আরোপের
হয়তো হয়েছে যথার্থ সময়।
সাংসদরা বিষয়টা একটিবার
ভেবে দেখবেন কি?