আত্মার বন্দি শিবির থেকে মুক্তি পেয়ে
জীবনের চতুরঙ্গ দেখেছি গহীন আরণ্যকে বসে
সেদিন মেঘের সাথে সাক্ষাৎ হলেও বৃষ্টি নামেনি,
হঠাৎ দ্বীপ দেশের আরণ্যক ছেড়ে এসে
শহরের গল্পগুচ্ছ ও ভ্রমরের গুঞ্জন খেলায়
নিরেট ভাবে আঁকা দেখেছি কেবল হতাশার ছবি
জীবন-দর্শন যখন প্রায়োগিক ব্যাকরণ
যাযাবরের কাছে তা রসকষহীন
তেতো ফাঁপা ফানুসের মতোই অকার্যকর।


ধরণীর বুকে প্রতিটি চলমান যুদ্ধে
রাইফেল, রোটি, আওরাত সমান্তরালে চলে না
মতাদর্শ পরিবর্তিত হয়--
উদ্বাস্তু বাহুতে হরেক বাঁক আসে
খেলা রামের খেল ও একদিন থামে
জীবনের মতোই আপত্তিকর সাহিত্য
কখনো কথা কয় যেভাবে--
একাত্তরে বাংলাদেশ কথা কয়।


আরেক ফাল্গুনে ছাড়া পেয়ে জেনেছি
উষ্ণ প্রণয়, স্নিগ্ধ পরশ ছাড়া হৃদয়  
একাত্তরের দিনগুলির মতোই বীভৎস, বিভীষিকাময় এবং ভয়ংকর আর্তনাদ।
অনুভূতির ছোটগল্পকারেরা জীবন্ত লাশ,
জোম্বিদের গল্প শোনায়, আমাদের
একেকটা উপন্যাস অস্তিত্ববাদের নামে--
শোনায় যন্ত্রমানবদের একঘেয়ে কেচ্ছা।


আয়নায় চোখ ফেলে দেখি
ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের রক্তিম প্রতিচ্ছবি
আনমনে সে যেন বসে আছে
মেরি শেলির কবরের শিয়রে
পাশেই একটি ফুটন্ত বনফুল
এক লক্ষ বছর ধরে হতাশার মোড়ে দাঁড়িয়ে
সৌরভ বিলাচ্ছে এই পরিত্যক্ত পৃথিবীতে।


কবিতা না জানা--
চরিত্রহীন ভ্রমরদের বিদ্রোহী রুপ দেখে
উইল করা কৃষ্ণকান্তের কোন অনুশোচনা নেই
তারাদের ভীরে হারানো রোহিনী আজ নিভে গেছে
তবে বসুন্ধরায় ঘুরে বেড়ায় অতৃপ্ত আত্মা।


শাহ্জাদা আল হাবীব
চবি
০৬.০৫.২০১৯