স্বাধীনতায় পরাধীনতা বিরাম দিলো সবে বেলা,
অমর শুভকামনা উদ্বয় হলো রবি শিখা।
হীনতার রক্ত পীড়া দিবারাতি শীর্ষে প্রতিস্ফূতা,
রক্তের বহ্নিশিখা শিরোর রক্তে লেখা
তটে চন্দ্রেলিপা ।।


ব্যাধি চারে গচ্ছিত আমি কিবাছলে ক্রধের রক্তমনি,
বে-বিচার তরান্বিত আনি  
ছিলায় নয়ান্তরি পূর্ণা ধর্ষেনারি।
স্বাধীনতা হেরিতে ফেরি ধরণীর জননী
ছিলাময়ী বে-বিচারি,
হীনতায় ক্লিষ্ট দ্বারে ক্রন্দনে জীবন বাঁহি
পিরথিবে কিবা বাঁয়ি ছ্বলে নরপতি ।।


স্বীকৃতে দ্রুতগামী বিলুপ্তে লুপ্ত ঘনী
স্বীকৃতি হানিত্বরি স্বয়ংগামী,
ভিটে মাটি জন্মভূমি ভূমন্ডলি
শূন্যহতি পূর্ণে যাতি।
পরদ্বারে গ্লানি আপন ফেলি পরিজনি
মাসিকি বছর বর্ষধোরি,
স্বাধীনে  স্বাধীন গামী
হাজার হাজার লক্ষ লক্ষাতি
রক্ত ঝরা জীবন বলিদানি ।।


পারগতা কী? দেশ ঞ্জানি
হাজার লাশের মৃতভেড়ি
সৎ-নিসৎ আপনকে লুকাতে,
পারবে কী? বিশ্বমাঝি
প্রিন্ট জেরক্স কপিতে লুকাতে
সৎ অসৎ বিবেককে।
হাজার দুয়ার বাগী
ভ্রমনে ভ্রমন গমোতি
বাগীচাই ফেড়ি,
শতবার কুঠারে আসি
মনবাগী গচ্ছতি
বিবেকি নিযাতি মোচী
চাঁনের কলঙ্কিনী ।।


ঊষার দন্ডায়মানে জাগো;
বে-বিচার!,
চাঁনের রণক্ষেত্রে সমো গতে জাগো;
বে-বিচার!।
নির্বিচারের দাগায় পীড়নের মনুষ্য সর্বগণে জাগো;
বে-বিচার!,
জাগো হে পৃথ্বী দেশের অভুক্ত সর্বগণে জাগো;
বে-বিচার! ।।


সংসার পরিহার আপন পরিবার সহিত বে-বিচার,
ভাই বোনের রক্ত মলীন
নারীর নীড় যাতন।
নারীর ধর্ষ ক্ষত বিক্ষতন
মানব মানবী সম্পর্ক ছেদে ছেদন,
জাগো হে ছুঁচো ইঁদুর শিয়াল শিয়ালিনীর প্রতি
ঈগল রক্ত তোষার রুপি-মানুষের প্রতি জাগো;
বে-বিচার! ।।


সংসার পরিহার করো হে সংহার;
বে-বিচার!,
আপন পরিবার ন্যাশে ঘাতকার
করো হে সংহার ;
বে-বিচার!।
পীড়ায় রণোঙ্কিত ব্যাকুলতার বে-বিচার!
পরাধীনতার জীবন বরণ মরণ
ভবোতির প্রতিজ্ঞা স্মরন
ভব ক্ষনন,
বে-বিচার! ।।


রক্তে রাঙানো চিঠি,
সাইরেনের বিভোর ঘাণি।
রক্তের রাঙ্গানো ১৫ই আগষ্ট১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের মাটি,
হয়নিকো আজও প্রতিলিপি ।।


রক্তে ভেজা চিঠি,
অন্ধের অন্ধের আলো দিবারাত্রি অপেক্ষাতি।
রক্তের রাঙ্গানো চিঠি,
শুধু নির্বিচারে বে-বিচারি ।।


রক্তে রাঙানো ভূমি-
রক্তে ভেজানো মাটি।
রক্তের খাঁজে জরানো স্মৃতি,
রক্তের ধাঁচে দেশের বলিদানের চিহ্নি!
খোদিত অঙ্কিতি।।


১৯৪৭ বঙ্গাব্দ ১৫ই আগস্ট অগ্রের পরবর্তী-
স্বাধীনতায় হীনতার যামিনী;
হয়নি তো আজও প্রতিলিপি
শুধু বেবিচারে বে-বিচারি।
শুধু নির্বিচার,
বে-বিচার!।।


শিক্ষাই দুরাচার-
সমাজে কুলাচার,
নেই কোন বিচার।
শুধু বে-বিচার,
বে-বিচার!।।


হয়নিতো আজও প্রতিলিপি,
শুধু বে-বিচারে বে-বিচারি।
শুধু বে-বিচার,
বে-বিচার!
বে-বিচার!....।।