পানে সুপাড় খেলি বুলে-
পিছু কথা গেলি ভুলে।
সে কথা যে রয়না সয়ে-
আমার এই মোনে,
কেমন করে ঠেকায় তাঁরে।


সে যে ছিল নদীর পুলা-
আমি ছিলাম জলে ভরা।
কেমন করে ঠেকায় তাঁরে,
জীবন তরীর বাঁধে।


দিলাম তাঁরে দুচোখ ভরে-
নয়নের মতো অস্রু ধারা জলে।
কেমন করে ঠেকায় তাঁরে,
জীবন নদের ঘূর্ণি পাকে।


দুকূল পাড়ি যায়-
গ্রাম দিক দিগন্ত ভাসায়!
ক্লান্তির ক্লান্ত পরিশ্রামায়।
তবু দ্যাখেনা আমায় ফিরে,
কেমন করে ঠেকায় তাঁরে।


নিষ্ঠুর মোন আমায়-
ঘর বাড়ি ছাড়ি যায়।
জীব জীবন্ত-
মানুষ পশু পক্ষ,
কেমন তাদের অন্ত।


পৃথ্বীর ভগ্নোর ভগ্নো শালাই-
চন্দ্র সূর্য তারায়,
তেমনিই অঙ্গ অন্তোর অন্ত আমায়।
সবই যেন হয় ধাঁচে ফালে;
কেমোনে ঠেকায় তাঁরে।


শ্রাবণের শ্রাবণ বসন্ত-
শ্রাবণী আষাঢ়ে গগন্তো।
কেমন তাঁরে অন্তো,
মূসলের ওই অন্ত।


পানে সুপাড় খেলি বুলে-
পিছু কথা গেলি ভুলে।
সে কথা যে রয়না সয়ে!
আমার এই মোনে,
কেমন করে ঠেকায় তাঁরে।