সাত মার্চ-১৯৭১।সারা দেশ উত্তাল।শত্রুবাহিনী প্রস্তুত।
সাত কোটি বাঙ্গালী নেতার আদেশের অপেক্ষায় অপেক্ষমান।
মঞ্চে উপবিষ্ট হলেন নেতা- বঙ্গ-বন্ধু শেখ মুজিব
লক্ষ জনতার করতালিতে মুখরিত রেসকোর্স ময়দান
শুরু হল বঙ্গ-বন্ধুর বজ্রকঠিন ঐতিহাসিক ভাষণ


ধর্মীয় দৃষ্টিকোনে বঙ্গ-বন্ধুর এ ভাষণ ছিল একটি কোরানিক মন্ত্রবাণী।
বঙ্গ-বন্ধুর সেদিনের পুরো বক্তব্যের শেষ উক্তি-”
রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিব।
এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ্।”


২৫ মার্চ বঙ্গ-বন্ধু গ্রেফতার হল। মুজিব পাকিস্থানের কারাগারে বন্দি
এতে জাতির মনোবল ভাঙ্গেনি,মনোবল চাঙ্গা করেছিল একটি মাত্র ধ্বনি  
ইনশাল্লাহ্।
সেদিন সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে সাহস যুগিয়েছিল
এই ইনশাল্লাহ্।
ধর্ম বর্ণ নারী পুরুষের ঐক্যবদ্ধের পিছনে একমাত্র চালিকা শক্তি ছিল
এই ইনশাল্লাহ্।
পাকিস্থানী বাহিনীদের আত্মসর্মপনে বাধ্য করনের পিছনে অমোঘ শক্তি
এই ইনশাল্লাহ্।


এই ইনশাল্লাহ'র মাঝে চুপটি মেরে বসে থাকা সত্তাটি শক্তি যুগিয়েছিল
বাঙ্গালী জাতিকে।
এ সত্তার শক্তিটুকু মুক্তির নিয়ামকের ভূমিকা হিসেবে কাজ করেছিল।
বঙ্গ-বন্ধুর মুখ নিঃসৃত কুরআনের ইনশাল্লাহ্ নামক মন্ত্রবাণীটিই এনেদিল
বাঙ্গালীদের একটি পতাকা, একটি মানচিত্র, একটি দেশ-বাংলাদেশ।


রচনাকালঃ ২৯/০১/২০২০
স্থানঃ রামপুরা,ঢাকা।