শতবর্ষ পরে আজকের এই দিনে ১৬ কোটি বাঙ্গালী
তোমাকে জানাই স্ব-শ্রদ্ধ সালাম ও গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী
যতদিন বাংলার আকাশে উদয় হবে চির শ্বাশত রবি-শঁশী
ততদিন বাংলার ঘরে ঘরে জ্বলবে মুজিবীয় আলোক রশ্মি
তুমি ছিলে,তুমি আছো,তুমি থাকবে বহু যুগযুগ ধরে
আজ শতবর্ষ পরে; মুজিব তোমায় মনে পড়ে!


কালের অতল তলে চাপা পড়ে হারায় কত শতকাল
শতবর্ষ পরেও তুমি আছো অটুট,আছো সমুজ্জ্বল!
দাবিয়ে রাখতে পারেনি তোমায় জেল জুলুম করে
তুমি এলে জয় করে চলে গেলে মাত্র পঞ্চান্ন বছরে
এখনও মিশে আছো প্রতিটি বাঙ্গালীর অন্তরে অন্তরে
আজ শতবর্ষ পরে; মুজিব তোমায় মনে পড়ে!


অজপাড়াগাঁয়ের সেই খোকাটি আজ বিশ্ব নন্দিত
জ্ঞাণ গরিমায় সাহস শক্তিতে তুমি ছিলে গর্বিত
তোমার ভাষণে ভাষণে কাঁপত সৈরাচারীর আসন
মুকুটবিহীন রাজার ভূমিকায় করেছো রাজ্য শাষন
তোমার মহান অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে
আজ শতবর্ষ পরে; মুজিব তোমায় মনে পড়ে!


তোমার ঐতিহাসিক ভাষণে ছিল স্বাধীনতার বীজ  
তর্জনীর গর্জনীতে জন্মেছিল বাংলাদেশ নামক শীষ  
বিলাসিতা ছেড়ে তুমি আমরণ বেঁচে নিয়েছো সমর
তাইতো মুজিব চিরঞ্জীব, তুমি মরেও হয়েছো অমর
তুমি ছিলে তুমি আছো তুমি থাকবে হৃদ মন্দিরে
আজ শতবর্ষ পরে; মুজিব তোমায় মনে পড়ে!


দমিয়ে রাখতে চেয়েছিল যারা তোমার কন্ঠের ধ্বনি  
জানেনা ওরা এই ধ্বনিই হবে যে একদিন হীরার খনি
শতবর্ষ পরে”এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” সেই বজ্র ধ্বনি
প্রতিধ্বনিত হয়ে বাজে ভক্ত বৃন্দের বুকের পিঞ্জরে
আজ শতবর্ষ পরে; মুজিব তোমায় মনে পড়ে!


তুমি ভেবনা নেতা,তুমি যে পিতা,মোরা তোমার সন্তান
তোমার গড়া সৈনিক মোরা,রাখবই পতাকার মান
তোমার হাত ধরে শহীদের তাজা খুনে জাতি পেল মানচিত্র
বৃথা যেতে দিবনা কভু ,এটা যে মায়ের মতই পবিত্র
জাতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তোমার আদর্শ রাখবে ধরে  
আজ শতবর্ষ পরে; মুজিব তোমায় মনে পড়ে!


এক ময়সী কন্যা তোমার উত্তরসূরী বাঙ্গালী জাতির নব্য কান্ডারী
উন্নয়নের রুপকার,বাংলার রাণী,মানবতার মা, জাতির দিশারী
তোমার অসমাপ্ত কার্যাবলী হতে দেয়নি সে জলাঞ্জলি
গড়বেই সে তোমার চির লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা
মুজিব-হাসিনা জয়োধ্বনি বাজে বাংলার আকাশ বাতাস মুখরিত করে  
শত শতাব্দী পরেও তোমরা থাকবে বাঙ্গালীর চিন্তায় চেতনায় মন্তরে।

রচনাকালঃ ০৪/০৩/২০২০
স্থানঃ রামপুরা,ঢাকা।


(মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে কবিতাটি বাংলা কবিতা ডট কম এর পি ডি এফ বই এ প্রকাশিত হয়েছে।)