তোমাকে, তিমির তমসা রাত্রিতে চেয়েছি,
অন্ধ হয়ে, পথ ভুলে গিয়ে
ঘোর রাতে চাঁদ কিংবা পথ দেখানো রুপালি অালো,
ব্যতীত তোমাকে চেয়েছি আমি;
যেমন আমাদের প্রাণ উন্মুখ হয়ে বসে থাকে
একটুকু স্বাধীনতার জন্য, তেমনি সোনালী স্বাধীনতা
ব্যতীত কেবলই তোমাকে চেয়েছি আমি।


অর্থ নয়, তোমাকে চেয়েছি সহায়সম্বলহীন হয়ে,
গৃহ নয়,  তোমাকেই চেয়েছি বাস্তুহারা হয়ে।


তোমাকে ঝড় ঝড় আলোড়িত বরষায় চেয়েছি,
ঘোর বরষার তান্ডবের মাঝেও,
এক রাত্তির নীরবতা কিংবা শীতল ঘাসভেজা রোদেলা ভোর
ব্যতীত তোমাকে চেয়েছি আমি,
যেমন মৃত্তিকা দাবি রাখে বরষায় এক নদী আকাশের অশ্রু,
তেমন কোনো দাবি ব্যতীত কেবল তোমাকে চেয়েছি আমি।


সুখ নয়, তোমাকে চেয়েছি বেদনায় সিক্ত রজনীতে,
নির্জনতা নয়, তোমাকেই চেয়েছি প্রচন্ড নাগরিক কোলাহলে।


তোমাকে, মৃত্যুর মতন অন্ধকারে দেখেছি,
মৃত্যুর শেষ দ্বারেও করুণ হরি ধ্বনির সুরে অন্ধকার কিংবা অসীম নীরবতা
ব্যতীত তোমাকে দেখেছি আমি,
মানুষ জন্ম তো কতবার চলে যেতে গিয়েও ফিরে আসে, কীসের টানে?
কেউ কেউ যেতে চেয়েও অপারগ,
আবার ফিরে আসে;
কেউ কেউ  চায় না,
রয়ে যেতে চায় তিমির রাত্রির  শেষে অনন্ত সুর্যোদয় কিংবা আরও এক বসন্তের আকর্ষণে।


তেমনি বসন্ত নয়, তোমাকে চেয়েছি মৃত্যুর মতন অন্ধকারে,
মোক্ষ নয়, তোমাকেই চেয়েছি জীবন অবসানে।