"এই শুনছো?চিনির কৌটে খালি!"
"তাতে কি?? চায়ের কাপে তোমার মিষ্টি ভালোবাসা দাও ঢালি...
উপচে পড়ে যেন!"


"যাহ্ কি যে বলছো না তুমি!"
"সত্যি বলছি!! তাতে যে আমার ঢের চলবে"
"ইশশ.. সেটা তো আগলে রাখা..দেব কেন?"


" আচ্ছা সত্যি দ্যাখো..এই যে একদানাও নেই "
"একবেলা না হয় লবন চা খেলাম,
অমন আর কিই বা হয় তাতে!"
"আবার সেই!!"


"কয়েক দানা চিনি জানতো..
..আজ বিকেলটা তোমার নামে লিখা আছে..
তাই তো সময়ের আগেই ফুরিয়ে গেল..
হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারিয়ে যেত পাছে..
অফিসের ফাইলের সাদাকালো ধূলোজমা লেখা দেখে দেখে..
ভুলে গিয়েছি নীল শাড়ি তে তোমায় চেয়ে..
প্রথম এই দৃষ্টি ভালোবাসা শেখে..
আজ সেই স্মৃতির পাথারে চলো ডুবে যাই গভীরে..
যার সবটুকু শুধু তোমাকেই ঘিরে.."


"ভালোবাসা না ছাই!
আমি বেশ জেনেছি ওসব মিষ্টি কথা..
এখন বলবে,'বেরিয়ে চলো ওদিকটায় যাই!
শাড়িটা আবার পরো না' তথা..
এই সেই মিলে খরচের ফন্দি..
না বাবা থাক,তার চেয়ে ভালো ঘরেই বন্দী.."


"দেখো মেয়ে ঐ পয়সায়ই যদি এত মায়া..
ছেড়ে দাও আমার ছায়া..!
শুনে রেখো ভালোবাসাময় বিকেল রোদ আর দু কাপ চায়ের ঋণ..
ঐ দু চার পয়সা তার কাছে মূল্যহীন.."


"হলো তো?
 এবার বলো টিপটা ঠিক তো?"
"ঠিক??
ঐ টিপেই তো আমার পৃথিবীর সর্বদিক.."


"আর শাড়িটা??"
"প্রেমে কি আবার ফেলে দিবে মেয়েটা??"


"আর চিনি?"
"ধুর ছাই..রাখো তো!
এখন শুধু তুমি আর আমি..মৃণালিনী"