শীতের শুরুতে অপরূপ প্রকৃতিকে অধিকতর সৌন্দর্যময় করতে
সাত সমুদ্র পাড়ি দাও, স্বর্গরাজ্যের এই দেশে।
স্বাছন্দ্যময় আশ্রয় আর অমৃত ভান্ডারে ভোজন করতে।
বসন্তে যখন বিদায় নাও,
তখন মরুভূমি যেরকম জনশূন্য থাকে,
সেরকমই পাখিশূন্য করে দাও বাইক্কার ঐ বিলগুলো।
এই একটুখানি কালের ছোঁয়ায় যখন রঙিন করে দাও জলাশয়,
রং-বেরঙের পালক দেখে, তখন মনটাও হয়ে যায় শীতালয়।
নীল আকাশে যখন বিভিন্ন আকৃতিতে উড়াল দাও,
তখন মনে হয় যেন,
নকশিকাঁথার মাঠের নীচে বসে আমরা তোমাদের সৌন্দর্যতায় দোল খাচ্ছি।
পাখিপ্রেমীরা নতুন পাখি খোঁজার আনন্দে মেতে ওঠে।
প্রকৃতির অলঙ্কার হয়ে যখন সৃষ্টি করো এক লোভনীয় সৌন্দর্যতা,
ঠিক তখনি তোমাদের উপরে দৃষ্টি পড়ে কিছু নরপিশাচের,
প্রকৃতির আইনকে উপেক্ষা করে, নিরন্তর শিকার করে চলেছে।
যেখানে তোমরা এসেছো অমৃত ভোজনে,
সেখানে আমরাই তোমাদেরকে নিয়ে মেতে উঠি অমৃত ভোজনে।
কী নৃসংশতা, কী অমানবিক!
হে পরিযায়ী পাখি, হয়তোবা তোমরা এসেছো একটুকু আশ্রয় আর উষ্ণতার আশায়,
হয়তোবা চেয়েছিলে একটুখানি ভালোবাসা,
হয়তোবা একটুকু আহার,
বিনিময়ে দিলাম শুধু ব্যাথা আর যন্ত্রণার বাহার।
হে পরিযায়ী, ক্ষমা হলো ভালোবাসার বড় দান,
নরপিশাচদের ক্ষমা করে তোমরা রাখো আমাদের মান,
প্রতি মৌসুমে বিলগুলো পরিপূর্ণ করে
আমাদের হৃদয়ে করে নাও স্থান।